মানব জীবনে বিবাহের গুরুত্ব।
সুলতান আহমদ............
মানব জীবনে বিবাহের গুরুত্ব অসীম।বিবাহ হচ্ছে আমাদের পেয়ারে নবী (সঃ)এর একটি গুরুত্ব পুর্ণ সুন্নত।
হাদীস শরীফে নবীয়ে কারীম (সঃ)ইরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি বিবাহের ক্ষমতা রাখে অথচ বিবাহ করেনা সে আমার তরিকায় নেই।
আরেক হাদীসে নবীয়ে করীম(সঃ)ইরশাদ করেছেন, বিবাহ ঈমানের পূর্ণতা আনয়ন করে।
অন্ন হাদীসে এসেছে তোমরা স্বামী স্ত্রী একে অপরের অলংকার স্বরূপ।
বিবাহ সম্পর্কে পবিত্র ক্বোরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন। নারী পুরুষের জন্যে পোশাক,পুরুষ নারীদের জন্যে পুশাক।
মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাকের অপার কুদরতের একটি নিদর্শন হল তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সাথী সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি স্ততি লাভ কর।
আর তিনি তোমাদের মাঝে প্রেম প্রীতি ও ভালবাসা দান করেন।নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।(সুরাহ রুম-১১)
এই আয়াত ও হাদীস দ্বারা বুঝা যায় ইসলামে বিবাহের গুরুত্ব কতটুকু।
বিবাহের দ্বারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যে প্রেম ভালবাসা সৃষ্টি হয় তা আল্লাহর রহমত স্বরূপ। তা কোন অপরাধ নয় বরং এই ভালবাসা হল অধিকার। মনের শুদ্ধতা পবিত্রতা ও মানবিক।
নবীজী (সঃ)বলেন আল্লাহ তায়ালা স্বামী স্ত্রীর সুখ সম্ভোগ ও হাসি -তামাসা দেখে খুশী হন এবং এ কার্যের জন্য তাদের আমল নামায় ছাওয়াব লিখেন।আর তাদের হালাল রিযিকের ব্যবস্থা করেন। (কানজুল উম্মাল)
স্বামী-স্ত্রীর প্রেম ভালবাসা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠা করে। আর এই ভালবাসা সংসার সুখের করে তুলে।পারিবারিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে।এর প্রাপ্তিতে মন আনন্দিত থাকে।
বিবাহের অনেক ফযিলত ও আছে।
নবী করীম(সঃ) বলেন,বান্দা যখন বিয়ে করল সে তার অর্ধেক দ্বীন পূরণ করল।
অন্ন হাদীসে নবী (সঃ)বলেছেন, কোন স্বামী যখন তার স্ত্রীর দিকে লক্ষ্য করে,স্ত্রী তার স্বামীর দিকে তাকায় তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান।আর স্বামী যখন তার স্ত্রীর হাত ধরে তখন উভয়ের পাপ সমূহ তাদের আঙুলীর ফাক দিয়ে ঝরে পড়ে।স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আল্লাহ পাক এমন গভীর প্রেম ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন যে একে অপরের জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হয়ে যায়।বিবাহ পরবর্তী ভালবাসা হচ্ছে হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের বসবাস।এই ভালবাসা চিরস্থায়ী সম্পদ। তাইতো ইসলামে স্বামী স্ত্রীর বৈধ মিলনে উৎসাহিত করেছে।স্বামী স্ত্রীর সোহাগ-সম্ভোগ, প্রেম ভালবাসা ও মিলন দ্বারাও সওয়াব লাভ করে বলে হাদীসে রয়েছে।পাশাপাশি ইসলাম স্বামী স্ত্রী ছাড়া অন্য সকলের মিলন সম্ভোগকে হারাম ঘোষণা করেছে।এভাবে ইসলামের প্রত্যেকটি নিয়ম বিধানের মধ্যে মানুষের উপকার ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
এতঃএব,যুব সমাজের প্রতি নিবেদন এই যে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর অযথা সময় না কাটিয়ে পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে,অন্যায়-অনাচার মুক্ত সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখুন।তারপর স্বামী স্ত্রীর বৈধ ভালবাসার মাধ্যমে গড়ে তুলুন একটি সুন্দর সমাজ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে দ্বীনের সহিহ বুঝ দান করুন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
আব্দুর রহমান মাদানী......... →মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে বিয়ে করবেন কেন? মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেদের প্রতি মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েদের হৃদয়ের...
-
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ রেদওয়ান আহমদ *বিয়ানীবাজারে জামিয়া ক্বাসিমুল উলূম মেওয়া মাদরাসায় খতমে বোখারী অনুষ্ঠিত; শেষ দরস প্রদান করলেন, খলিফায়ে...
-
ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলাম রহ. : জীবন ও কর্ম আকাবির-আসলাফ, ইতিহাস ঐতিহ্য Leave a comment তাঁর মূল নাম তাজুল ইসলাম। পিতার নাম মাওলানা...


No comments:
Post a Comment