অবুঝ মেয়ে হুমায়রা
বিয়ের পর খেয়াল করবে,
যদি তোমার স্ত্রী নিচের চৌদ্দটা কাজ
করে,
তাহলে ধরে নিবে সে এ যুগের শ্রেষ্ঠ
স্ত্রী।
:
একঃ যদি তোমার অবর্তমানে,
সে তোমার কথা আলোচনা
করতে,তোমার সম্পর্কে শুনতে
আগ্রহবোধ করে, অথবা তোমার মুখ
থেকে তোমার জীবনের গল্প শুনতে
ভালবাসে এবং তুমি যাদেরকে
ভালবাসো, সেও যদি তাদেরকে
ভালবাসে, তাহলে তুমি চোখ বুজে
ধরে নিতে পার, তুমি একজন স্বামী
সোহাগীনি (উরুবান) স্ত্রী পেয়েছ।
:
দুইঃ তুমি তার মতের বিপরীত কাজ
করলে, তার সাথে কোনও বিষয়ে
একমত না হলেও, সে যদি রাগ না
করে, গাল ফুলিয়ে না থাকে,
তাহলে ধরে নিবে তুমি একজন
ভাগ্যবান স্বামী।
:
তিনঃ তোমার হাসি-কান্না, সুখ-
দুঃখে সেও যদি সমব্যথী-সতীর্থ হয়,
তাহলে বোঝা যাবে সে একজন
স্বামীপরায়না স্ত্রী।
:
চারঃ যদি দেখ সে নিত্য নতুন বিষয়
নিয়ে তোমার সাথে কথা বলে,
বিষয় খুঁজে না পেলে, বানিয়ে
বানিয়ে হলেও ছুতো ধরে তোমার
সাথে কথা বলার উপায় খোঁজে,
তাহলে সে একজন স্বামী-অন্তপ্রাণ
স্ত্রী।
:
পাঁচঃ যখনই কোনও নতুন কাজ শুরু করে বা
গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেয়,
তোমার সাথে পরামর্শ করে।
তাহলে তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পার,
তুমি একজন পতিব্রতা স্ত্রী পেয়েছ।
:
ছয়ঃ যত কমদামিই হোক, তুমি তাকে
কোনও উপহার দিলে সে দু’হাতে
সে উপহার বড় মনে গ্রহণ করে। পরম
উৎফুল্ল হয়। তাহলে তুমি শুধু আদর্শ
স্ত্রীই পাওনি, একজন বুদ্ধিমতী
স্ত্রীও পেয়েছ।
:
সাতঃ যদি সে সব সময় তোমাকে
ভারমুক্ত রাখতে সচেষ্ট থাকে, আগ
বাড়িয়ে তোমার টুকিটাকি
কাজগুলো করে দেয়, তাহলে
তোমার ইহজীবনটা জান্নাতেই
কাটবে। চোখ বুজেই এটা মেনে
নিতে পার।
.
আটঃ তোমার অনুপস্থিতি যদি তাকে
উৎকণ্ঠিত করে রাখে, বারবার ফোন
করে, মেসেজ পাঠিয়ে তোমার
খোঁজ-খবর করে, তাহলে ধরে নাও,
তুমি একজন ফিরিশতাকে পেয়ে
গেছ।
:
নয়ঃ তুমি পছন্দ করো এমন কাজ যদি সে
আগ বাড়িয়ে করে এবং তুমি পছন্দ
করো না, এমন কাজ যদি সযত্নে
পরিহার করে চলে, তাহলে তুমি
নির্ভার থাক। তুমি সুখী একটা জীবন
কাটাতে যাচ্ছ।
:
দশঃ তোমার স্বভাবের বিশেষ দোষ-
ত্রুটি-খুঁত যদি তাকে বিরক্ত না করে,
রাগিয়ে না দেয়, তাহলে তুমি
সর্বকালের সেরা একজন বন্ধু পেয়ে
গেছ।
:
এগারঃ যদি সে তোমার জন্যে যে
কোনও ধরনের কষ্ট স্বীকার করতে এক
পায়ে প্রস্তুত থাকে, তাহলে সুখময়
একটা জীবনই তোমার সামনে
অপেক্ষা করছে।
:
বারঃ যদি সে তোমার চিন্তার
জগতে আগ্রহভরে অংশগ্রহণ করে,
যেসব বিষয়ে তোমার মনোযোগ
সেও যদি তাতে আগ্রহী হয়, তোমার
শখের বিষয়গুলোর প্রতিও সে যত্নবান
হয়, যদি তোমার কল্পনাজগতের
সাথেও সে একাত্ম হয়, তাহলে
তোমার চেয়ে সুখী ইহজগতে আর
কেউ হতে পারে না।
:
তেরঃ যদি সে তোমার জন্যে
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজও লাজ-সংকোচ
ছাড়া করতে পারে, নিদ্বিধায়
করে ফেলে, তাহলে তোমার উচিত
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা।
:
চৌদ্দঃ যদি সে তোমাকে আল্লাহর
নৈকট্য অর্জনে, ইবাদত-বন্দেগীতে,
পাপম্ক্তু জীবন-যাপনে সহযোগিতা
করে, উৎসাহ যোগায়, তাহলে তুমি
এমন কিছু পেয়ে গেছো, যা
তোমাকে দুনিয়াতেও জান্নাতী
সুখের সন্ধান দিবে, আখিরাতেও
জান্নাতী জীবন লাভের নিশ্চয়তা
দিবে।

No comments:
Post a Comment