আলোর বাতিঘর..................
জীবন থেকে নেওয়া
(১) সময়ের সাথে সাথে মানুষের আসল চরিত্র প্রকাশ পায়।
(২) আত্মহত্যা করা যদি সহজ এবং মারাত্মক কবীরাহ গুনাহ না হত; তাহলে দুনিয়ার কত যে মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নিত! দুনিয়া যতই তিক্ত হোক, মুমিনরা পরকালের আশায় ধৈর্য্য ধারণ করে এবং নেক আমলের চেষ্টা করে। কাফির, মুশরিক ও নাস্তিকরা পরকালের আশা করেনা, একারণে তাদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
(৩) বিপদে পড়লে শয়তানও আল্লাহর কাছে দুয়া করে। পানিতে পড়ে মৃত্যুর সময় ফিরাউন "আমি মুসা (আ'লাইহি ওয়া সাল্লামের) রব্বের প্রতি ঈমান আনলাম" - এই কথা বলেছিলো। অনুরূপভাবে, কঠিন অসুখে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে অনেক নাস্তিকও অহংকার ভুলে আল্লাহকে ডাকা আরম্ভ করে। তবে আল্লাহ অনেক মহান, ক্ষমাশীল ও ধৈর্য্যের অধিকারী। বান্দা যতই গুনাহগার হোক, পশ্চিম দিকে সূর্য উঠা বা কারো আত্মা গরগরা পর্যন্ত চলে না আসার পূর্ব পর্যন্ত আন্তরিক তোওবা করলে তিনি সবার ডাকেই সাড়া দেন।
(৪) সময় যত যাবে ক্রমান্বয়ে আলেমদের মৃত্যুর মাধ্যমে আলেমদের সংখ্যা কমতে থাকবে। অনুরূপভাবে, উম্মতের সাধারণ মানুষের মাঝে একে একে ভালো মানুষগুলো চলে যাবে, বাকী থাকবে শুধু নষ্ট, পচা আর অপদার্থ মানুষগুলো। মানুষ যখন নষ্ট হয়ে যাবে তখন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত সফলকাম।
(৫) পাপ হচ্ছে কারেন্ট জালের মত, একবার আটকা পড়লে বেড়িয়ে আসা খুব কঠিন। মানুষের এক পাপ বহু পাপ ডেকে আনে। পাপ হচ্ছে বিষের মতো, আন্তরিক তোওবা হচ্ছে তার চিকিতসা।
(৬) অনেকে নামাযী মুসলমান ভাইয়েরাও অপ্রয়োজনে নিজের, নিজের স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের ছবি তুলে, অথচ বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী প্রয়োজন ছাড়া ক্যামেরা বা মোবাইলে ছবি তোলা জায়েজ নয়। দেখা যায় তাদের কেউ কম্পিউটারে, মোবাইলে স্ত্রী বা মেয়ের ছবি ওয়ালপেপার দিয়ে রাখে, প্রিন্ট করে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে, ফেইসবুকে আপলোড দেয়, মানিব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এইভাবে তার আশে-পাশের পুরুষেরা তাদের ঘরের নারীদেরকে দেখতে পাচ্ছে অথচ তার কোন হুশ নেই। যেই পুরুষের মাঝে নিজের ঘরের নারীদের জন্য ঘীরাহ (zealousy) নেই, তার ঘরের নারীদের মান-ইজ্জত থাকেনা।
(৭) দুনিয়াতে আসার সিরিয়াল আছে, যেমন বাবা-মায়ের পরে ছেলে-মেয়ে, ছেলে-মেয়ের পরে নাতি-নাতনী। কিন্তু দুনিয়া থেকে যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই। অনেক বাবা/মায়ের মৃত্যুর পূর্বেই তাদের ছেলে-মেয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়। দুনিয়াতে সবচাইতে খারাপ সংবাদ হচ্ছে মায়ের কাছে তার সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ। দুনিয়াতে সবচাইতে ভারী বোঝা হচ্ছে বাবার কাঁধে পুত্রের লাশ।
(৮) নিজের স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদেরকে একটু ভালো(!) রাখার জন্য কত যে মানুষ মিথ্যা কথা বলে, অন্যকে ধোকা দিয়ে, অন্যের সম্পদ নয়-ছয় করে, আত্মসাত করে বা কেড়ে নেয়। অথচ, যাদের জন্য সে পাপ করছে, কিয়ামতের দিন তাদের কেউ-ই তার পাপের ভাগ নিতে রাজী হবেনা, বরং তার পাপের জন্য তাকে ধিক্কার দেবে।
(৯) মিথ্যা কথা বলে সাময়িকভাবে পার পাওয়া যায়, কিন্তু আখেরে বিপদে পড়তে হয়। সততা-ই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
(১০) অলসতা, উদাসীনতা, নিজ কাজে বিলম্ব করা অনেক মানুষকে উচ্চ মর্যাদা অর্জন থেকে বঞ্চিত করে।
(১১) দুনিয়া কঠিন জায়গা, ফেইসবুক, ইন্টারনেটের জগত আরো নিকৃষ্ট।
(১২) নামায ত্যাগ করা কুফুরী। সুতরাং, বেনামাযী সে যেই হোক, এমন লোক কক্ষনো ভালো মানুষ হতে পারেনা।
(১৩) যারা শিরক এবং কুফুরীতে লিপ্ত হয়, তাদের মানুষত্ব লোপ পেয়ে লজ্জাহীন, হিংস্র পশুর মতো হয়ে যায়।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেই মেয়েটার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে, তার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসী মেয়েটাকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য গণতান্ত্রিক কুফুরী রাজনীতিতে লিপ্ত ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীরা উঠে-পড়ে লেগেছে।
- ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাস্মীরের একটি গ্রাম থেকে মুসলমানদেরকে ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করার জন্য মাত্র ৮ বছরের শিশু আসিফাকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে, দিনের পর দিন পূজার ঘরে বন্দী রেখে, পুলিশকে সাথে নিয়ে গণধর্ষণে লিপ্ত হওয়া হিন্দু নরপশুদের বাচানোর জন্য সেখানকার হিন্দু মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ, কোর্ট, অনেক বিবেকহীন হিন্দুরা মিলে নির্লজ্জের মতো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ সমস্ত কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করছে। আর মুসলমানেরা ক্বুরআন, সুন্নাহ থেকে দূরে সরে গিয়ে পাপে লিপ্ত হয়ে, প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে, নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করে দুর্বল হয়ে গেছে। আল্লাহু মুস্তায়া'ন।

No comments:
Post a Comment