Monday, August 27, 2018

রাকিব আল হাসান
Sakib Hossen Sakhawat ইঞ্জিনিয়ারস ডায়েরী -
Engineers Diary পরিবার
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে সবচাইতে দামি জার্সিটি
ছিলো ইংল্যান্ডের। জার্সিটির প্রস্তুতকারক দেশ
ছিলো বাংলাদেশ। বাংলা টাকায় যার পরিমাণ ১৮০০০
টাকা। অথচ প্রতি জার্সিতে শ্রমিক মজুরি পেয়েছিল
মাত্র ২৩ টাকা।
গত সপ্তাহে যমুনা ফিউচার পার্কে দেখলাম এক জোড়া
দুই ফিতার স্যান্ডেলের দাম ১৮০০০ টাকা। জিজ্ঞেস
করলাম, কুমিরের চামড়া নাকি বাঘের চামড়া?
সেলসম্যান উত্তর দিলো, কোনটাই না। তারপর বললাম,
জুতার সাথে একটা সেলফি তুলি? বললো, জুতা কিনা
ছাড়া সেলফি তোলা যাবে না।
এই গেলো বৈদেশিক জুতার কাহিনী। দেশের জুতার
কাহিনী আসলেও একই অবস্থা। দেশীয় কোম্পানি
এপেক্সের স্যান্ডেলের দাম পাঁচ ছয় হাজার দামের
আছে, সু আছে দশ হাজারেরও বেশি দামের।
সেলসম্যানরা দাবি করেন একদম খাঁটি দেশীয় চামড়া
দ্বারা প্রস্তুতকৃত। অথচ এরকম খাঁটি দেশী গরুর চামড়ার
কোনো বেইল নাই। কোরবানির ৩ লাখ টাকার গরুর
চামড়া বিক্রি করছি মাত্র এবং কেবল মাত্র ২৪০০
টাকায়।
এটি একটি সাধারণ চিত্র মাত্র। দেশের সবকটি শিল্প
প্রতিষ্ঠানে মালিকপক্ষের লাভ এবং শ্রমিকের মজুরির
ব্যবধান ঠিক এতটাই। তাছাড়া কয়দিন পরপর টিভির
পর্দায় আর পত্রিকার পাতায় তো হরহামেশাই দেখা
যায়, শ্রমিকদের এত মাসের বেতন আটকে আছে অমুখ
গার্মেন্টসে, তমুখ শিল্প প্রতিষ্ঠানে। মুখে আমরা যতই
উন্নয়নশীল দেশ আর উন্নয়নের জোয়ার বলে ফেনা তুলি,
বাস্তবিকপক্ষে এসব শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের ভাগ্যের
কোনো পরিবর্তন হয় না। তাদের জন্মই হয় মূলত শোষিত
হবার জন্য। শোষিত হতে হতে তারা একসময় কবরে পাড়ি
জমায়। সেখানে অবশ্য এমন বঞ্চনার হিসেব নেই...sahelradwanahmed@gmail.com

No comments:

Post a Comment