Sunday, September 23, 2018

Foysol Ahmed
জামাতের এই শয়তান নাকি আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও আলেম উলামাগণকে নিয়ে কটুক্তি করেছে? কওমি সনদের স্নাতকোত্তর সমমান স্বীকৃতির বিল পাস হবার পর থেকে আমরা লক্ষ করছি, একশ্রেণীর মোনাফেক লোকদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে৷ এর কারণ বুঝে আসেনা!
অাচ্ছা এই সরকারের অধিনে কি জামাত বিএনপির কোনো ভাই চাকরি করছে না? তারা তো করছে, সু়যোগ সুবিধা ভূগ করছে৷ এই সেদিনও তো বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসা ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য বিএনপির প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ধরনা দিলেন! খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে তারা প্রতিদিনই বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন! জামাত নেতারা যখন জেলে ছিলো, তাদের মুক্তি দিতে এবং যাদের ফাসি হয়েছে তাদের ফাসির রায় বাতিল করতে বর্তমান সরকারের কাছেই তো তারা দাবী জানিয়েছিলো! এই সরকারের কাছে বিএনপি জামাত কোনো দাবী করলে সেটা কি অন্যায়ের ভেতরে পড়েনা? অবশ্যই না৷ কেননা, দাবী জানানোটা তাদের অধিকার৷
কওমি উলামাদের প্রাণের দাবী সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি৷ এখানে বর্তমান যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তার কাছে দাবী করে তা আদায় করা কওমির আলেমদের অধিকার নয় কি? আপনি বলবেন, অবশ্যই অধিকার৷ তাহলে, এই ইস্যুতে কওমির আলেমগণ নিয়ে তাদের এতো চুলকানো কেনো? দাবী যে সরকার মেনে নিয়েছে, সেই সরকার অবশ্যই অভিনন্দন পাবে৷ আলেমগণ তাদের দীর্ঘ দিনের দাবী পূরণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাতেই পারেন! এটা নিয়ে অতি উৎসাহী হবার যেমন কোনো কারণ নেই, সমালোচনারও কোনো সুযোগ নেই! তাহলে এ নিয়ে জামাত বিএনপির কিছু ভাইদের এতো মাথা কেনো?
বর্তমান সকরাকারের আমলে বাম, নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্ধেষী গুটি কয়েক লোক স্বীকৃতির বিরুধীতা করে তা অাটকে দিতে চেয়েছিলো যেমন, ২০০৬ সালে জামাতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ষড়যন্ত্রের কারণে তৎকালীন সরকারের আমলে কওমির স্বীকৃতি আটকে গিয়েছিলো৷
তাহলে কি আমরা বলবো যে, কওমি মাদরাসা শিক্ষাধারার বিরুধীতায় জামাত এবং নাস্তক্যবাদীরা মূদ্রার এপিট ওপিট!
পরিশেষে বলতে চাই,
যদি সত্যিই হয়ে তাকে,
তাহলে অনতিবিলম্বে তারেক মনোওয়রকে গ্রেফতার করতে হবে। ফয়সল জিহাদী

No comments:

Post a Comment