Wednesday, October 24, 2018

       গল্প-
                অপেক্ষা-
                              সুলতান আহমদ


শেষ পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
★একদিন তাহসান কোন এক কাজে শহরের বাহিরে গিয়েছিল।রাত ও অনেক হয়ে গেছে।
ফেরার পথে এত ঝড়তুফান যে,রাস্তায় গাড়ী-ঘোড়া কিছুই নেই।কোন উপায় না দেখে সে এক বাড়ির দিকে গেল।গিয়ে দেখে এটা বাড়ি নয়,অনাথ আশ্রম।
সে আশ্রমে উঠেই একটি পিচ্চি মেয়েকে দেখতে পেল।আর আশ্রমের অন্য বারান্দায় ঠিক তার তাযকিয়ার মত একজন মহিলা দেখতে পেল।
সে পিচ্চি মেয়েটাকে বলল মামণি তোমাদের এখানে কি আমি আজ রাতের জন্য থাকতে পারি?তোমাদের মেডামকে একটু ডাক।সে গিয়ে মেডামকে বলল;তাযকিয়া বের হয়ে সামনে আসতেই অবাক এ কি!
★তার পর।
সব কিছু জানবার পর তাহসান তাকে নিতে চাইল কিন্তু তাযকিয়া যেতে রাজিনা।সে তার এই মুখ কাউকে দেখাবেনা।তারপর তাহসান আর ঐ ভদ্র মহিলার অনুরুদে সে যেতে রাজি হল।
        গল্প-
                অপেক্ষা-
                              সুলতান আহমদ


২ পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
★কয়েক দিন পর।
তাযকিয়া যাবে পিত্রালয়ে।তাহসানের মা তাহসানকে বললেন,বৌ মা কে নিয়ে যা,কিন্তু তাযকিয়া চায়না যে,তাহসান তার সাথে যাক।
সে রাস্তায় গিয়ে তাহসানকে বলল;আপনি আমাকে নিয়ে দেয়া লাগবেনা,আমি একাই যেতে পারব।
তাহসানকে ছেড়ে সে একাই একটি C.N.Gতে উঠল।তাহসান তার পিছু পিছু মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছে। তাহসান তাযকিয়ার পিছু যাচ্ছে দেখে,তাযকিয়া C.N.G থামিয়ে তাহসানকে আচ্ছামত গাল-মন্দ করে তাড়িয়ে দিল।
★তাহসান বাড়ি এসে তার শাশুড়ি আম্মাকে ফোন দিয়ে যানতে চাইল তাযকিয়া বাড়িতে গিয়েছে কি না?
শাশুড়ি আম্মা বললেন না!সে তো আসেনি।কি হয়েছে বাবা?তাহসান সব খুলে বলল।
তাহসান মহা চিন্তায় পড়ল।কোথায় গেল ও।অনেক খুঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মিলল না।
যে দিন তাযকিয়া গিয়েছিল ঐ দিন রাতে তাযকিয়ার ফোন থেকে তাহসানের ফোনে একটা S.M.S এল যে,আমি সাহেদের সাথে এসে গেছি।তাই আমাকে আর খুঁজিয়োনা।S.M.Sটা দিয়েছিল সাহেদ।তাহসান বিষয়টা বুঝতে পারল।
★কিন্তু সাহেদ যে,এত নিকৃষ্ট তাযকিয়া তো আর আগে জানতোনা।তার বান্ধবীরা তাকে কত করে বলেছেন যে,সাহেদ ছেলেটা ভালনা,সে খারাপ। আরো কত কিছু,কিন্তু'চোরে কি শুনে ধর্মের কাহিনী'
আজ তাযকিয়া হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছে যদি তার বান্ধবীদের কথা শুনত।
★সাহেদ তাযকিয়াকে কিডন্যাপ করেছে বাহিরা দেশে পাচার করার জন্য।তাযকিয়ার ভাগ্য ভাল,সাহেদ যে ফ্লাটে তাকে নিয়ে উঠেছে ঐ ফ্লাটের পাশের ফ্লাটে একজন ভদ্র মহিলা সাহেদের চলা-ফেরা দেখে সন্দেহ হল।
এমনকি মাঝে-মধ্যে কোন এক মহিলার চিৎকার ও শুনতে পেতেন।তাই তিনি পুলিশ এনে তাযকিয়াকে উদ্ধার করেন।কিন্তু সাহেদকে পাননি সে পালিয়েছে।
★তাযকিয়ার মুখ থেকে সবকিছু শুনে ঐ মহিলা দুঃখ প্রকাশ করলেন।
এবং বললেন তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমাকে তোমার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেব।সে বলল না,আমি আমার এই মুখ তাদের দেখাতে চাইনা।
আপনি আমাকে একটা চাকরী দেবেন?ঐ ভদ্র মহিলা উনার অনাথ আশ্রমে তাকে চাকরী দিলেন।
★দু'বছর পর।
দেখতে দেখতে দু'বছর কেঠে গেল।তাহসানের শাশুড়ি কত করে তাকে বললেন,বাবা তুমি একটা বিয়ে করে নাও।কিন্তু তাহসান আজো তার তাযকিয়ার অপেক্ষায়।        গল্প-
                অপেক্ষা-
                              সুলতান আহমদ
২ পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
★কয়েক দিন পর।
তাযকিয়া যাবে পিত্রালয়ে।তাহসানের মা তাহসানকে বললেন,বৌ মা কে নিয়ে যা,কিন্তু তাযকিয়া চায়না যে,তাহসান তার সাথে যাক।
সে রাস্তায় গিয়ে তাহসানকে বলল;আপনি আমাকে নিয়ে দেয়া লাগবেনা,আমি একাই যেতে পারব।
তাহসানকে ছেড়ে সে একাই একটি C.N.Gতে উঠল।তাহসান তার পিছু পিছু মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছে। তাহসান তাযকিয়ার পিছু যাচ্ছে দেখে,তাযকিয়া C.N.G থামিয়ে তাহসানকে আচ্ছামত গাল-মন্দ করে তাড়িয়ে দিল।
★তাহসান বাড়ি এসে তার শাশুড়ি আম্মাকে ফোন দিয়ে যানতে চাইল তাযকিয়া বাড়িতে গিয়েছে কি না?
শাশুড়ি আম্মা বললেন না!সে তো আসেনি।কি হয়েছে বাবা?তাহসান সব খুলে বলল।
তাহসান মহা চিন্তায় পড়ল।কোথায় গেল ও।অনেক খুঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মিলল না।
যে দিন তাযকিয়া গিয়েছিল ঐ দিন রাতে তাযকিয়ার ফোন থেকে তাহসানের ফোনে একটা S.M.S এল যে,আমি সাহেদের সাথে এসে গেছি।তাই আমাকে আর খুঁজিয়োনা।S.M.Sটা দিয়েছিল সাহেদ।তাহসান বিষয়টা বুঝতে পারল।
★কিন্তু সাহেদ যে,এত নিকৃষ্ট তাযকিয়া তো আর আগে জানতোনা।তার বান্ধবীরা তাকে কত করে বলেছেন যে,সাহেদ ছেলেটা ভালনা,সে খারাপ। আরো কত কিছু,কিন্তু'চোরে কি শুনে ধর্মের কাহিনী'
আজ তাযকিয়া হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছে যদি তার বান্ধবীদের কথা শুনত।
★সাহেদ তাযকিয়াকে কিডন্যাপ করেছে বাহিরা দেশে পাচার করার জন্য।তাযকিয়ার ভাগ্য ভাল,সাহেদ যে ফ্লাটে তাকে নিয়ে উঠেছে ঐ ফ্লাটের পাশের ফ্লাটে একজন ভদ্র মহিলা সাহেদের চলা-ফেরা দেখে সন্দেহ হল।
এমনকি মাঝে-মধ্যে কোন এক মহিলার চিৎকার ও শুনতে পেতেন।তাই তিনি পুলিশ এনে তাযকিয়াকে উদ্ধার করেন।কিন্তু সাহেদকে পাননি সে পালিয়েছে।
★তাযকিয়ার মুখ থেকে সবকিছু শুনে ঐ মহিলা দুঃখ প্রকাশ করলেন।
এবং বললেন তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমাকে তোমার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেব।সে বলল না,আমি আমার এই মুখ তাদের দেখাতে চাইনা।
আপনি আমাকে একটা চাকরী দেবেন?ঐ ভদ্র মহিলা উনার অনাথ আশ্রমে তাকে চাকরী দিলেন।
★দু'বছর পর।
দেখতে দেখতে দু'বছর কেঠে গেল।তাহসানের শাশুড়ি কত করে তাকে বললেন,বাবা তুমি একটা বিয়ে করে নাও।কিন্তু তাহসান আজো তার তাযকিয়ার অপেক্ষায়।

Monday, October 22, 2018

অপেক্ষা-
সুলতান আহমদ
প্রথম পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
অপেক্ষা হল শুদ্ধতম ভালবাসার একটি চিহ্ন।
সবাই ভালবাসি বলতে পারে
কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালবাসা প্রমাণ করতে পারেনা।
"অপেক্ষা"শুধুই একটি শব্দ,যার মর্ম তারাই বুঝে যারা এই শব্দের মধ্যেপড়ে।
★কাল তাহসানের বিয়ে।
কি যে আনন্দ আজ তার তা কেবল সে-ই জানে।সে তার সপ্নের রানীকে পাবে আগামীকাল।তাহসানের বাড়িতে চলছে ধুমধাম উৎসব।হৈ- হুল্লুড়ে বাড়িটা আজ যেন কোন পিকনিক সেন্টার।
এদিকে তাহসানের অবস্থা নাজেহাল।শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা।রাতটা যেন শেষ হচ্ছেনা।রাত্রিটা যেন তার কাছে অন্য দশ রাত্রির সমান মনে হচ্ছে।
সে অপেক্ষায় আছে কবে সকাল হবে,আর সে তার সপ্নের মানুষকে পাবে।
এদিকে তার সপ্নের রানী তাযকিয়াদের বাড়িতেও মহা উৎসব হচ্ছে।
★আজ,তাহসানও তাযকিয়ার বিয়ে।
তাযকিয়াদের বাড়ির লোকেরা অপেক্ষায় আছে কবে বর আসবে?
বর আসলেন।বিয়েটা হয়ে গেল তাদের।
আক্বদ অনুষ্ঠান শেষ করে তারা কনে কে নিয়ে গেল।
★আজ তাদের বাসররাত।
কত সপ্ন তাহসানের,সে ঘরে ঢুকেই কনে কে উদ্দেশ্য করে সালাম দিল।
সালামের উত্তর ও এল।
সালামের উত্তর দেয়ার পর তাহসান কথা বলার পূর্বেই তাযকিয়া বলে উঠল আপনার সাথে আমার কয়েকটি কথা আছে।
তাহসান অবাক না হয়ে পারলনা।আজকের এই রাতে আমি কথা বলার আগে কি এমন কথা যা,ও বলতে চায়!
তাহসান অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাযকিয়ার দিকে।
কি বলতে চায় তাযকিয়া?কি এমন কথা যা আমি কথা বলার আগেই বলতে হবে তাকে?
এমন অনেক প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে তাহসানের মনে।
তাযকিয়া বলল;কি হল আপনি কিছু বলছেন না যে?
তাহসান কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এল।
সে বলল হ্যা বলুন আপনার কি কথা।
★তাযকিয়া এবার বলা শুরু করেছে।
তাযকিয়া বলছে আজ আপনাকে একটা কথা বলব,আমার কথাটা রাখবেন?
তাহসান বলল,হ্যা বলুন আপনার কথা।
তাযকিয়া বলল,দয়া করে আপনি আমাকে স্পর্শ করবেননা। আমার সাহেদের সাথে রিলেশন আছে।আমি শুধু ওর।আর কারো নয়।
প্লিজ, আপনি আমার উপর স্বামীর অধিকার খাটাবেন না।
তাহসান নিরব,এ কি শুনছে সে!
সকল কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটল তার।
সে বলল;ঠিক আছে আমি তুমার উপর অধিকার স্থাপিত করবনা।আমরা আপাতত বন্ধু হয়ে থাকতে পারি।
তবে তাযকিয়া তুমার প্রতি আমার একটি কথা,তুমি আমার পরিবারকে এ সম্পর্কে কিচ্ছু বলবেনা।তারা যেন কিছুই যানতে না পারে।

Friday, October 19, 2018


অশ্রুসিক্ত আখি!

গতকাল থেকে হুজুর অসুস্থ। মারাত্মক ডাইরিয়া। সকালে বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। ধরে ধরে উঠাতে হল। যখন প্রিন্সিপাল সাহেবের ওফাতের খবর দেওয়া হল, রুগাক্রান্ত চেহারাটা আরো ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। দু'ফুটা অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। যেন একেবারে আপন কাউকে হারিয়েছেন। সারাদিন হা-হুতাশ করতে দেখা গেলো। শেষপর্যন্ত চেষ্টা করলেন জানাজায় শরিক হওয়ার, কিন্তু পারলেন না। অবশেষে আসরের পর দ্বারে ক্বাদিম মসজিদে ছাত্রদের নিয়ে কোরআন শরিফ খতম করলেন। দোয়ার পুর্বে কিছুক্ষণ প্রিন্সিপাল সাহেবের জীবনী আলোচনা করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এই সামান্য আলোচনায় ফুটে উঠলো প্রিন্সিপাল সাহেব আমাদের জন্য কতবড় নেয়ামত ছিলেন। হুজুর বার বার বলছিলেন "প্রিন্সিপাল সাবকে আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন" তাঁর সাহসিকতা আলোচনা করতে গিয়ে অনেক স্মৃতিচারণ করেন। বিশেষত কাজির বাজারের প্রতিষ্ঠা, আইন-শরিয়ত সম্মেলন, তাসলিমা খেদাও আন্দোলন, শাবির মুর্তি বিরুধী আন্দোলন ইত্যাদি উল্লেখ করেন। পরিশেষে সালেহ আহমদ সালিক কালিগঞ্জি হুজুর দোয়া করেন।
রাব্বে কারিমের কাছে আবেদন, তিনি যেন প্রিন্সিপাল সাহেবকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন। আর হুজুরকে দীর্ঘায়ু দান করেন। আমিন,,,,
লেখক...
আব্দুল আহাদ রাহিন
সাধারন সম্পাদক.....আল হিলাল ছাত্র সংসদ
জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর

মাফুজ সাহেব.........

সিলেটের কোনো এক প্রতিবাদী সমাবেশ ছিল এটি। সম্ভবত সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে হয়েছিল। হক্কানি উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল তখন। সভা মঞ্চে প্রথম সারীতে আসন অলংকৃত করে যেসব মনীষী বসে আছেন; তাঁদের অনেকেই আজ এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ছেড়ে আপন মাওলার সান্নিধ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। বাম দিক থেকে:
* প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রাহমান রাহিমাহুল্লাহ
* সদরে এদারা (সাবেক), শায়খুল হাদিস মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকুটি রাহিমাহুল্লাহ
* জয়িমুল কওম মাওলানা হাবিবুর রাহমান রাহিমাহুল্লাহ
* শায়খুল হাদিস মাওলানা আউলিয়া হোসাইন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ (অধমের আব্বাজান)
* এদারা বোর্ডের দীর্ঘদিনের সেক্রেটারি, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল বাসিত বরকতপুরি রাহিমাহুল্লাহ
* শায়খ মাওলানা শফিকুল হক আমকুনি সাহেব হাফিযাহুল্লাহ
* সদরে এদারা (বর্তমান), মুফাক্কিরে ইসলাম শায়খ মাওলানা যিয়া উদ্দিন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ
* হজরত মাওলানা আব্দুল খালিক শায়খে চাক্তা হাফিযাহুল্লাহ
দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা মৃত হজরতদের জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন এবং জীবিত হজরতদের সুস্বাস্থ্য সহ দীর্ঘ হায়াত দান করুন। আমিন।

Tuesday, October 16, 2018

                       আত্মীয়
                                    সুলতান আহমদ



=_=_=_=_==_=_           =_=_==_=_=_=_=
আত্মীয়,শব্দটা আত্মা থেকে নির্গত।
 অর্থাৎ আত্মীয় এমন কাউকে বলে যার সাথে আত্মার মিল রয়েছে।আত্মীতার সম্পর্ক হচ্ছে তাই।
আত্মীয় কাকে বলে জানলাম।
এখন আত্মীয়তা কত গভীর একটি সম্পর্ক, যা টিকিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য।
আমাদের জীবনের কর্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।আর এই আত্মীয়তা টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের পায়ারে নবী(সঃ)ও তাকিদ দিয়েছেন। এটি কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ তা তো বুঝা যায়ই।
যদি এটি গুরুত্বপূর্ণ না হত,তা হলে নবী(সঃ)আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বলতেননা।
আর আত্মীয়তা ছিন্ন করা কত বড় মারাত্মক অপরাধ তা আমরা একটু জেনে নেই।
নবীজী(সঃ)বলেছেন।আত্মীয়তা ছিন্নকারী শয়তানের ভাই।
আহ!আমরা কতনা আত্মীয়ের সাথে দুর্ব্যবহার করি।
আমি যদি একটু সাবলম্বী হই,তাহলে আমাদের গরিব আত্মীয়দের আমরা মানুষই মনে করিনা।তাদের অবজ্ঞা করি।তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি,তাতে আমাদের বিবেক একটুও বাঁধেনা।
আমরা বিলাসিতা করি অথচ সে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তার কী খবর রাখছি?
অথচ আমাদের উপর তাদের কত হক্ব রয়েছে।আমরা কী তা পালন করছি?
একটু ভাবুন,তাদের প্রতি সদয় হোন।তাদের হক্ব আদায় করুন।
আল্লাহ আমাদের কে আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার তাউফিক দান করুন এবং তাদের হক্ব সমূহ সঠিক ভাবে আদায় করার তাউফিক দান করুন।
                    সপ্ন পূরণ
                                        সুলতান আহমদ

<><><><><শেষ পর্ব ==^== <><><><><><>

মারুফ,যখন ছ'মাসের।
তখন তার পিতা মারা যান।আর এতে রুমানার সপ্নে কিছুটা বাটা পড়ে যায়।কিন্তু রুমানা থেমে থাকেনি।
সে আল্লাহর উপর ভরসা করে কল্পনা করেছে তার সপ্ন পূরণ করবেই।ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করবে।
সে তার সপ্ন পূরণের জন্যে মানুষের বাসায়-বাসায় কাজ করে।
এখন মারুফও ৭/৮বছরের হয়ে গেছে।
মা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন মাদ্রাসায়।সে নিয়মিত মাদ্রাসায় যায়।খুব মেধাবী ছাত্র সে।
একদিন মারুফ মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখে তার মা এক বাড়িতে কাজ করছেন।বাড়িতে আসার পর মা তাকে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছেন।কিন্তু সে খাচ্ছেনা।
বলছে তুমি আমার জন্য এতো কষ্ট কর কেন মা?
মা বললেন;বাবা তুই বড় হয়ে এ দেশের নাম করা একজন ব্যক্তি হবে এটাই আমার সপ্ন,এজন্যই এত কষ্ট করি।
মারুফ যখন ৯বছরের।তার মা হঠাৎ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন।স্বাভাবিক কিছু ঔষধ চলছিল।কিন্তু অসুস্থতা কোন সুস্তির দিকে নেই।
এক রাতে মারুফের মায়ের রুগ এত বেড়ে যায় যে,বাচার সম্ভাবনা নেই।
মারুফ ঐ গভীর রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে বাজারে গিয়ে ডাক্তারের কাছে ঔষধ চাইল।
মারুফের কাছে তো টাকা নেই।ঐ ডাক্তার মারুফকে ঔষধ দিলনা।
কি করবে এই ছোট্র মারুফ!নিরুপায় হয়ে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে।
হঠাৎ মারুফের এক উস্তাদ এসে উপস্থিত।উনার একজন প্রিয় ছাত্র এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে কেন?
মারুফ তার উস্তাদকে সব কিছু খুলে বলল।
তিনি তো আর ঐ ডাক্তার নন,সয্য করতে পারলেননা প্রিয় ছাত্রের দুঃখ।ওর মায়ের জন্য ঔষধ কিনে দিলেন।
মারুফ খুশিতে আত্মহারা,এবার তার মা কে বাচানো যাবে।কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস।
মারুফ ঔষধের ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে দেখে ওর মা আর বেচে নেই।
ঔষধের ব্যাগ হাত থেকে পড়ে গেল তার।
মারুফ;মা মা বলে চিৎকার শুরু করল।আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করবেই।
আজ মারুফ টগবগে যুবক।সিলেটের নাম করা একজন ব্যবসায়ী।
সে তার মায়ের নামে একটি হসপিটাল খুলেছে।যাতে তার মায়ের মত কোন গরিব লোকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু না হয়।
মারুফ আজ ঠিকই প্রতিষ্ঠত হয়েছে।সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করেছে।
ঐ দিনের সেই ছোট্র মারুফ আজ প্রতিষ্ঠিত একজন আলেম ও ব্যবসায়ী।
মারুফ তো প্রতিষ্ঠিত হল,মায়ের সপ্ন পূরণ করল।
কিন্তু মা কি দেখছেন যে,তার ছেলে মারুফ আজ তার সপ্ন পূরণ করেছে?
বিঃদ্রঃ এটা কাল্পনিক একটা গল্প।
                       সপ্ন পূরণ
                     সুলতান আহমদ

<><><><><১ম পর্ব ==^==  <><><><><><>
মারুফ,সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করতে কি পারবে?
রুমানা;গ্রামের আজ-পাড়া গায়ে তার বাড়ি।হেসে খেলে দিন কাটে তার।কারণ এখনো তো সে ৬/৭ বছরের ছোট্র শিশু।
এখন সে স্কুলে যাওয়া ও শুরু করে দিয়েছে।
গরিবের মেয়ে,সে তো আর ইংলিশ মিডিয়ামে যেতে পারবেনা।
গ্রামের জীর্ণশীর্ণ এক প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হল।প্রাইমারী পড়া শেষ করে পাশের গ্রামের এক হাইস্কুলে ভর্তি হল রুমানা।
রুমানা;খুব সহজ-সরল একটা মেয়ে।
এখন সে বড় হয়ে গেছে।আজ s.s.c পরিক্ষা শেষ হল রুমানার।সে অনেক খুশি। রিজাল্ট বের হওয়ার পর কলেজে পড়া লেখা করবে।
কিন্তু সে যে গরিবের মেয়ে,সে কি পারবে কলেজে পড়তে,তার কি কলেজে পড়ার সপ্ন পূরণ হবে?
এদিকে বাবা তার বিয়ের কথা ভাবছেন,মেয়েটা বড় হয়ে গেছে বিয়ে তো দিতেই হবে।
রুমানার জন্য একটা ভাল সম্মন্ধ এল।ভাল পরিবার।সব কিছু ঠিক -ঠাক আছে।গরিবের মেয়ে সে,ধনী-বড়লোক কেউতো আর আসবেনা।তাদের মতই একজন।
আজ রুমানার বিয়ে।তার কলেজে পড়ার সপ্ন, সপ্নই থেকে গেল।
স্বামীর বাড়ি ভালই দিন কাটছিল তার।বছর দুয়েক পর রুমানার উদরে জন্ম নিল এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
এখন তাদের সব সপ্ন ঐ সন্তানকে নিয়েই।
তার নাম রাখেন,
মারুফ।

Tuesday, October 9, 2018



হাটহাজারী মাদরাসায় জামায়াত-শিবিরের হামলা


রাত সাড়ে ৯টা। আনুমানিক শ'খানেক সশস্ত্র যুবক একটি ট্রাকযোগে মাদরাসার গেটের সামনে নেমে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মাদরাসার ভেতরে ডুকে পড়ে। তারপর ৩/৪টা পটকা ফুটিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চালায়। কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একদল দফতরে ইহতেমাম, আরেকদল দাওরায়ে হাদীসের নৈশকালীন ক্লাস চলাকালে দাওরার শ্রেণিকক্ষের দিকে এবং আরেকটি দল পাঠাদানের জন্য ব্যবহৃত মাইকের সেট রাখা কক্ষের দিকে অগ্রসর হয়।
১৯৮৫সালের ১০ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
১ম দল ধমকি ও অশালীন কথা বলে মুহতামিম সাহেবের বন্ধ দরজা ভাঙার চেষ্টা চালায়। ২য় দল দারুল হাদীসে উঠে মুসলিম শরীফের ক্লাসরত ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালায় এবং লাথি দিয়ে কিতাবপত্র এদিক সেদিক ফেলে দিতে থাকে। এসময় দরসদানকারী মুহাদ্দিস মুফতি আযম আহমদুল হক উপায়ন্তর না দেখে সেখানেই সিজদা পড়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে থাকেন।
ইত্যবসরে হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্ররা মাদরাসার সম্পদ, মুহতামিম সাহেব এবং শিক্ষকদের রক্ষার্থে এগিয়ে আসে। ইট-পাটকেল ছুড়ে আক্রমণকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। (উল্লেখ্য, তাদের হাতে ছিল বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছুরি, কিরিচ, লোহার রড, লাঠি ও মরিচের গুড়া ইত্যাদি। মারাত্মকভাবে সন্ত্রস্ত করতে এনেছিল খেলনা পিস্তল। সাথে আনে মাদরাসার রুম-গেট বন্ধ করতে বিপুল পরিমাণে তালা।)
এদিকে দপ্তরে ইহতিমাম আক্রান্ত হলে মুহতামিম সাহেব থানা এবং শহরের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের টেলিফোনযোগে সংবাদ জানিয়ে সাহায্যের আবেদন করে।
'মুহতামিম সাহেব খুন হয়েছেন' এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার এলাকাবাসি দ্রুত এসে মাদরাসার গেটে জড়ো হয়। কিন্তু ভেতর থেকে গেট বন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের দল পৌছে যায়।
এসময় মুহতামিম সাহেব মাইকে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে নিজের অক্ষত থাকার কথা ঘোষণা দিয়ে পুলিশদের ভেতরে প্রবশের অনুরোধ জানায়। পুলিশের সাথে অনেক মানুষ ঢুকে পড়ে। এরপর ছাত্র-জনতা চতুর্দিক থেকে আক্রমণকারিদের মুকাবেলা করে। এরই মধ্যে শহর থেকে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স এসে পৌঁছে।
উভয় ফোর্স যৌথভাবে অল্পসময়ে ৪১জন আক্রমণকারিদের গ্রফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনেকে দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
সংঘর্ষে অনেকে হতাহত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ১৪৪ধারা জারি করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহরের একটি মাদরাসা, ভার্সিটি এবং কলেজের ছাত্ররা ছিলো।
নীল নকশা উদ্ধার :
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হামলার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত আগাম নকশা উদ্ধার করে।
নকশায় কোন কোন ভবনে কে কে অংশ নিবে, কে কোন দায়িত্ব পালন করবে এবং হামলাকারির সংখ্যা বর্ণনা রয়েছে। আরো ছিলো, টেলিফোন, মাইক ও গেটের দায়িত্বশীলদের তালিকা। এমনকি কিরিচ, ছুরি, লাঠি, বোতল, মরিচের গুড়া, তালা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্তারিত বিবরণ নকশায় উল্লেখ ছিলো।
হামলার মূল উদ্দেশ্য :
হামলাকারিদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো :
এক. তৎকালীন মুহতামিম সাহেবকে অপসারণ করে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ। দুই. বর্তমান শিক্ষকদের বহিষ্কার করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ।
তিন. মাদরাসার কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন।
চার. ভিন্নমতালম্বী ছাত্রদের বহিষ্কার করে নতুন ছাত্র ভর্তি।
পাঁচ. মাদরাসার নতুন প্রশাসন সম্পর্কে প্রচার ও পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন।
উপমহাদেশের অন্যতম এই দীনি প্রতিষ্ঠানে অনেকবার হামলা করতে চেষ্টা করেছে বেদাতি-জামাতিরা। কিন্তু আল্লাহর বিশেষ রহমতে প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং ধুলিস্মাৎ হয়েছে তাদের নীল নকশা। আর ১৯৮৫ সালের উক্ত ঘটনা ছিলো হাটহাজারী মাদরাসায় হামলাকারীদের পরাজয়ের ইতিহাসের করুণ ও কালো অধ্যায়।
তথ্যসূত্র : দারুল উলুম হাটহাজারীর ইতিহাস, পৃষ্ঠা ১৪৬-১৪৮। লেখক মুফতী জসীম উদ্দীন।
হাটহাজারীর মাদ্রাসার পেইজ থেকে (কপি কৃত)

Wednesday, October 3, 2018

সুলতান আহমদ

প্রিয়!
তুমার সাথে আমার তো কোন ভিবেদ নেই।
তুমি তো আমার আত্মার প্রিয়।
হয়তো আমার কাছ থেকে কোন কারণে তুমি কষ্ট পেয়েছ।
যদিও সত্যি তুমাকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য ছিলনা।
যানি তুমি কষ্ট পেয়েছ,হৃদয়ে তুমার আঘাত লেগেছে।
এর জন্য আমি নিজেই দুঃখিত। প্রিয় আমাকে ক্ষমা করে দিয়,আল্লাহ কা ওয়াস্তে।
হয়তো অন্য কারণে,অন্য কারো উদ্দেশ্যে বলেছিলাম,কষ্ট পেয়েছ তুমি।
এ গুলো তো ক্ষমাযোগ্য।আমি ক্ষমা প্রার্থী তুমার কাছে ক্ষমা করে দিয়।

Tuesday, October 2, 2018

পায়ে পড়ি হেফাজত
............জাগ্রত কবি মুহিব খান
লেখক.রাফি সালিম

এখনও মুছেনি দাগ রাজপথ থেকে হায়,
এখনও খুনীরা হাসে সে মাতম দেখে হায়,
এখনও মায়েরা কাঁদে, ফেরেনি যে সন্তান,
এখনও হয়নি শোধ সে রাতের অপমান।
শহরে নগরে আর সহস্র পাড়া-গাঁয়,
আজও সে আঘাত কোটি মুমিনের সারা গায়,
আজও সেই ক্ষতে ছুটে রক্তের ফিনকি,
শোধিতে পেরেছো সেই রক্তের ঋণ কি?
তবে কেন সন্দেহ সংশয় শুনি আজ,
কী করে বন্ধু হলো সেদিনের খুনি আজ!
রাজপথে পিষে যারা মুমিনের গোশতো,
কী করে তারাই আজ হয়ে গেলো দোস্তো!!!
কী এমন লেনা-দেনা জালিমের সঙ্গে?
একসাথে এতো রুপ কেন তব অঙ্গে!??
যে কেড়েছে সম্ভ্রম তারই সাথে 'হাঙ্গা'!
সাবধান হেফাজত! বেঁধে যাবে দাঙ্গা।
তুমি তো কিছুই নও, শুধু এক চেতনা,
জনতার ঢল দেখে গৌরবে মেতো না,
চেতনাকে পুঁজি করে চলে যদি কারবার-
ভেবো না জনতা সব ছেড়ে দেবে বারবার।
এই ঢল বাংলার অজপাড়া, মাঠ-গাঁর,
এই ঢল কেনা নয় ঢাকা কিবা চাটগাঁর,
এই ঢল ইমানের, তৌহিদি জনতার,
চেতনার গর্জন কান পেতে শোনো তার।
অনেক দিয়েছে ব্যথা 'গাদ্দার' অতীতে,
হেফাজত পড়ে যদি সেই দুর্মতিতে-
মানুষ নেবে না মেনে, তুলে নেবে চামড়া,
ইমান বেঁচতে হেথা আসিনি তো আমরা!
অনেক লিখেছি কথা চেতনার পক্ষে,
অনেক গেয়েছি গান বিজয়ের লক্ষ্যে,
যদি দেখি হেরফের, ইঁদুরের উত্পাত,
জনতাকে সাথে নিয়ে করে দেবো উৎখাত।
লক্ষ তরুণ আর উলামা ও জনতা,
তোমাদের দিয়ে গেছে হৃদয়ের মমতা,
ইজ্জত রেখো তার; যদি হয় অন্য
চরম বেদনা আছে তোমাদের জন্য।
আমায় ভেবো না পর, আমি তোমাদের লোক,
সাফ সাফ বলি কথা, যা হবার তাই হোক,
যতো দিন আছো ঠিক, করছো না ভুলটা,
ততো দিন সাথে আছি, নয়তোবা উল্টা।
বাংলার ঘরে ঘরে হেফাজত 'শক্তি'
খুনীদের সাথে তাই নয় কোনো চুক্তি,
নয় কোনো ফন্দি বা নয় কোনো সন্ধি,
‘হেফাজত-ফাঁদে’ থাক জালিমেরা বন্দি।
চেতনাকে বিকিয়ো না, পায়ে পড়ি হেফাজত! ভুল হলে ক্ষমা নেই, দিতে হবে নাকে খত,
জনতা থাপড়ে লাল করে দেবে গালটি,
চেতনা এগিয়ে যাবে নাম- নেতা পাল্টি।
এই দেশ ইমানের এই দেশ মুমিনের,
নয় কোনো নাস্তিক মুরতাদ কমিনের,
নাম-নেতা পিছে ফেলে, এ লড়াই চলবে,
ইমানের এ আগুন ঘরে ঘরে জ্বলবে।
Md Kholilur Rahman

একজন কিংবদন্তি৷ অকুতোভয়৷ সিংহপুরুষ৷ সিপাহসালার এবং একটি প্রতিষ্ঠান, একটি আন্দোলন, একটি সংগ্রাম ও বিপ্লবের নাম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী৷
তাঁর মতো সাহস ও হিম্মত সকলের হয়না৷ পর্বতসম দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে যান দেশ ও মুল্লাতের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে৷ গর্জে উঠেন এ মর্দ্দেমুজাহিদ৷ কারো রক্ত চক্ষু পরোয়া করেন না তখন৷ অসুস্থতার ভারে অনেকটা ন্যুব্জ৷ দুর্বল শরীর নিয়েও ঈমান ও দেশরক্ষার আন্দোলনে টগবগে যুবকের মতো বুক টান করে দাঁড়িয়ে যান৷ কখনো হুইল চেয়ারে বসে মিছিলের নেতৃত্ব দেন তিনি৷
আমি অবাক ও বিষ্মিত হই তাঁর সাহস এবং হিম্মত দেখে৷ কিভাবে এতো সাহস করতে পারেন একজন দূর্বল-বৃদ্ধ মানুষ! নিশ্চয় এর পেছনে ভিন্ন কোনো শক্তি আছে৷ হ্যাঁ অবশ্যই৷ এটা তাঁর ঈমানী ও আধ্যাত্মিক শক্তি৷ যে শক্তির সামনে পৃথিবীর সকল শক্তি গৌন এবং পরাজিত৷
তাঁর সকল কাজেই রয়েছে ঈমানী ও জাতীয় স্বার্থ৷ একজন নূর হোসাইন কাসেমী-ই, যার কোনো কাজে ব্যক্তিস্বার্থ নেই৷ ইসলাম, মুসলমান ও দেশ-জাতির প্রয়োজনে নিঃস্বার্থভাবে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিচ্ছেন তিনি৷ তাই কারো সমালোচনা এবং রক্তচক্ষুতে ভয় নেই তাঁর৷ কোনো কাজে হাত দিলে পেছনে ফিরে তাকান না কখনো৷ ইস্পাত দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন! আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী মদদ এবং সাহায্যই হচ্ছে তাঁর আসল পূঁজি৷
দেশ-জাতি, ইসলাম ও মুসলমানদের প্রয়োজনে আল্লামা কাসেমীর মতো মানুষ যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকার প্রয়োজন৷ দেশ ও জাতির চরম দূর্দীন ও কঠিন এ ক্রান্তিলগ্নে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর দূরদর্শী যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই৷ দ্বীনের এই উজ্জল নক্ষত্রের সুস্বাস্থ্য, সুস্থ্যতা ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করি! আমীন!!
সম্পর্কের বাঁধন দেখা যায় না,
এটি অদৃশ্য এক বাঁধন।
ইকরামুল হক (জাবের)

সম্পর্ক হয় বন্ধুত্বের, সম্পর্ক হয় ভালবাসার, সম্পর্ক হয় একসাথে চাঁদের আলোয় কিছুটা পথ হাঁটার, সম্পর্ক হয় খুনসুটিতে মেতে থাকার, সম্পর্ক হয় কাছে থাকার। 
চলার পথে অনেকের সাথে সম্পর্ক হয়, সময়ের স্রোতে অনেক মানুষ হারিয়ে যায়। কেউ ভুল বুঝে, কেউ অকারণে ঝগড়া করে, আবার কেউবা মান-অভিমান করে। 
একসময় নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেই মানুষগুলো আবার ফিরে আসে কিন্তু তখন সম্পর্কের বাঁধনটা আগের মত থাকেনা, অবিশ্বাসের চাঁদরে ঢাকা পড়ে যায়। 
একটি পবিত্র সম্পর্কে প্রিয় মানুষটির একটুখানি অবহেলা সহ্য করা যায়না, তার একটুখানি কটু কথা সহ্য হয়না, আসলে প্রিয় মানুষটিকে খুব বেশী ভালবাসা হয়তো তাই এমন হয়। তার অবহেলার কারণে নিজেকে গুটিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে সম্পর্কের মায়াজাল থেকে, কিন্তু সম্পর্কের বাঁধন টাতো ছিন্ন করা হয়না। আর ঐদিকে বিপরীত মানুষটা ভাবে সব শেষ করে দিতে চাচ্ছি তাই এমন করছি। কিন্তু একটিবারের জন্য এটা কল্পনা করে না, যাকে এত বেশী ভালবাসি তার সাথে রাগ করি রাগ ভাঙাবে বলে, 
অভিমান করি আমাকে বুঝবে বলে,
কান্না করি কষ্টটা বুঝবে বলে, চোখের জল পড়ার আগে আমাকে হাসাবে বলে। 
কিন্তু এমনতো আর হয়না উল্টো ভুল বুঝে সেই মানুষটা দূরে চলে যায়, হারিয়ে যায় অজানা কোন গন্তব্যে। 
ভালবাসার সম্পর্কগুলো অনেক আলাদা, অনেক হৃদয়স্পর্শী। আবার সেই সম্পর্কের অবহেলাগুলো খুব বেদনাদায়ক, খুব কষ্টকর। সব সম্পর্কে কম-বেশী দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে। কষ্টের অনুভূতি ছাড়া কখনো সম্পর্ক গভীর হয়না, সম্পর্কের আসল মর্যাদা বুঝা যায়না। সেটি হতে পারে পরিবারের সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, কিংবা প্রিয় মানুষটির সাথে বাঁধা অবুঝ সম্পর্ক। 
অবুঝ বললাম কারণ, এই সম্পর্ক কোন লজিক মানেনা, কোন বাস্তবতা মানেনা, এই সম্পর্কের সিদ্ধান্তগুলো সবসময় মন থেকে নিতে হয়, আর অবচেতন মন কখনো আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত দেয়, কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়।
সবার জীবনেই একটা সম্পর্ক প্রয়োজন, আর একটি টেককেয়ার করার মত মানুষ, সেই মানুষটি হতে পারে আপনার জীবন সঙ্গী, আপনার বন্ধু। যে মানুষটি সারাটিজীবন আপনার পাশে থাকবে, আপনার মন খারাপের সময় মন ভাল করার সঙ্গী হবে, যে মানুষটি আপনার মুখে একটু হাসির জন্য অনেক কিছু করবে। যে মানুষটি আপনাকে কখনো কাঁদতে দিবেনা, কখনো হারিয়ে যেতে দেবেনা, কোন শর্ত আর অজুহাত ছাড়াই ছায়া হয়ে আপনার পাশে থাকবে........!!