সপ্ন পূরণ
সুলতান আহমদ
<><><><><শেষ পর্ব ==^== <><><><><><>
মারুফ,যখন ছ'মাসের।
তখন তার পিতা মারা যান।আর এতে রুমানার সপ্নে কিছুটা বাটা পড়ে যায়।কিন্তু রুমানা থেমে থাকেনি।
সে আল্লাহর উপর ভরসা করে কল্পনা করেছে তার সপ্ন পূরণ করবেই।ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করবে।
সে তার সপ্ন পূরণের জন্যে মানুষের বাসায়-বাসায় কাজ করে।
এখন মারুফও ৭/৮বছরের হয়ে গেছে।
মা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন মাদ্রাসায়।সে নিয়মিত মাদ্রাসায় যায়।খুব মেধাবী ছাত্র সে।
একদিন মারুফ মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখে তার মা এক বাড়িতে কাজ করছেন।বাড়িতে আসার পর মা তাকে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছেন।কিন্তু সে খাচ্ছেনা।
বলছে তুমি আমার জন্য এতো কষ্ট কর কেন মা?
মা বললেন;বাবা তুই বড় হয়ে এ দেশের নাম করা একজন ব্যক্তি হবে এটাই আমার সপ্ন,এজন্যই এত কষ্ট করি।
মারুফ যখন ৯বছরের।তার মা হঠাৎ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন।স্বাভাবিক কিছু ঔষধ চলছিল।কিন্তু অসুস্থতা কোন সুস্তির দিকে নেই।
এক রাতে মারুফের মায়ের রুগ এত বেড়ে যায় যে,বাচার সম্ভাবনা নেই।
মারুফ ঐ গভীর রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে বাজারে গিয়ে ডাক্তারের কাছে ঔষধ চাইল।
মারুফের কাছে তো টাকা নেই।ঐ ডাক্তার মারুফকে ঔষধ দিলনা।
কি করবে এই ছোট্র মারুফ!নিরুপায় হয়ে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে।
হঠাৎ মারুফের এক উস্তাদ এসে উপস্থিত।উনার একজন প্রিয় ছাত্র এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে কেন?
মারুফ তার উস্তাদকে সব কিছু খুলে বলল।
তিনি তো আর ঐ ডাক্তার নন,সয্য করতে পারলেননা প্রিয় ছাত্রের দুঃখ।ওর মায়ের জন্য ঔষধ কিনে দিলেন।
মারুফ খুশিতে আত্মহারা,এবার তার মা কে বাচানো যাবে।কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস।
মারুফ ঔষধের ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে দেখে ওর মা আর বেচে নেই।
ঔষধের ব্যাগ হাত থেকে পড়ে গেল তার।
মারুফ;মা মা বলে চিৎকার শুরু করল।আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করবেই।
আজ মারুফ টগবগে যুবক।সিলেটের নাম করা একজন ব্যবসায়ী।
সে তার মায়ের নামে একটি হসপিটাল খুলেছে।যাতে তার মায়ের মত কোন গরিব লোকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু না হয়।
মারুফ আজ ঠিকই প্রতিষ্ঠত হয়েছে।সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করেছে।
ঐ দিনের সেই ছোট্র মারুফ আজ প্রতিষ্ঠিত একজন আলেম ও ব্যবসায়ী।
মারুফ তো প্রতিষ্ঠিত হল,মায়ের সপ্ন পূরণ করল।
কিন্তু মা কি দেখছেন যে,তার ছেলে মারুফ আজ তার সপ্ন পূরণ করেছে?
বিঃদ্রঃ এটা কাল্পনিক একটা গল্প।

No comments:
Post a Comment