Wednesday, October 24, 2018

       গল্প-
                অপেক্ষা-
                              সুলতান আহমদ


শেষ পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
★একদিন তাহসান কোন এক কাজে শহরের বাহিরে গিয়েছিল।রাত ও অনেক হয়ে গেছে।
ফেরার পথে এত ঝড়তুফান যে,রাস্তায় গাড়ী-ঘোড়া কিছুই নেই।কোন উপায় না দেখে সে এক বাড়ির দিকে গেল।গিয়ে দেখে এটা বাড়ি নয়,অনাথ আশ্রম।
সে আশ্রমে উঠেই একটি পিচ্চি মেয়েকে দেখতে পেল।আর আশ্রমের অন্য বারান্দায় ঠিক তার তাযকিয়ার মত একজন মহিলা দেখতে পেল।
সে পিচ্চি মেয়েটাকে বলল মামণি তোমাদের এখানে কি আমি আজ রাতের জন্য থাকতে পারি?তোমাদের মেডামকে একটু ডাক।সে গিয়ে মেডামকে বলল;তাযকিয়া বের হয়ে সামনে আসতেই অবাক এ কি!
★তার পর।
সব কিছু জানবার পর তাহসান তাকে নিতে চাইল কিন্তু তাযকিয়া যেতে রাজিনা।সে তার এই মুখ কাউকে দেখাবেনা।তারপর তাহসান আর ঐ ভদ্র মহিলার অনুরুদে সে যেতে রাজি হল।
        গল্প-
                অপেক্ষা-
                              সুলতান আহমদ


২ পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
★কয়েক দিন পর।
তাযকিয়া যাবে পিত্রালয়ে।তাহসানের মা তাহসানকে বললেন,বৌ মা কে নিয়ে যা,কিন্তু তাযকিয়া চায়না যে,তাহসান তার সাথে যাক।
সে রাস্তায় গিয়ে তাহসানকে বলল;আপনি আমাকে নিয়ে দেয়া লাগবেনা,আমি একাই যেতে পারব।
তাহসানকে ছেড়ে সে একাই একটি C.N.Gতে উঠল।তাহসান তার পিছু পিছু মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছে। তাহসান তাযকিয়ার পিছু যাচ্ছে দেখে,তাযকিয়া C.N.G থামিয়ে তাহসানকে আচ্ছামত গাল-মন্দ করে তাড়িয়ে দিল।
★তাহসান বাড়ি এসে তার শাশুড়ি আম্মাকে ফোন দিয়ে যানতে চাইল তাযকিয়া বাড়িতে গিয়েছে কি না?
শাশুড়ি আম্মা বললেন না!সে তো আসেনি।কি হয়েছে বাবা?তাহসান সব খুলে বলল।
তাহসান মহা চিন্তায় পড়ল।কোথায় গেল ও।অনেক খুঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মিলল না।
যে দিন তাযকিয়া গিয়েছিল ঐ দিন রাতে তাযকিয়ার ফোন থেকে তাহসানের ফোনে একটা S.M.S এল যে,আমি সাহেদের সাথে এসে গেছি।তাই আমাকে আর খুঁজিয়োনা।S.M.Sটা দিয়েছিল সাহেদ।তাহসান বিষয়টা বুঝতে পারল।
★কিন্তু সাহেদ যে,এত নিকৃষ্ট তাযকিয়া তো আর আগে জানতোনা।তার বান্ধবীরা তাকে কত করে বলেছেন যে,সাহেদ ছেলেটা ভালনা,সে খারাপ। আরো কত কিছু,কিন্তু'চোরে কি শুনে ধর্মের কাহিনী'
আজ তাযকিয়া হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছে যদি তার বান্ধবীদের কথা শুনত।
★সাহেদ তাযকিয়াকে কিডন্যাপ করেছে বাহিরা দেশে পাচার করার জন্য।তাযকিয়ার ভাগ্য ভাল,সাহেদ যে ফ্লাটে তাকে নিয়ে উঠেছে ঐ ফ্লাটের পাশের ফ্লাটে একজন ভদ্র মহিলা সাহেদের চলা-ফেরা দেখে সন্দেহ হল।
এমনকি মাঝে-মধ্যে কোন এক মহিলার চিৎকার ও শুনতে পেতেন।তাই তিনি পুলিশ এনে তাযকিয়াকে উদ্ধার করেন।কিন্তু সাহেদকে পাননি সে পালিয়েছে।
★তাযকিয়ার মুখ থেকে সবকিছু শুনে ঐ মহিলা দুঃখ প্রকাশ করলেন।
এবং বললেন তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমাকে তোমার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেব।সে বলল না,আমি আমার এই মুখ তাদের দেখাতে চাইনা।
আপনি আমাকে একটা চাকরী দেবেন?ঐ ভদ্র মহিলা উনার অনাথ আশ্রমে তাকে চাকরী দিলেন।
★দু'বছর পর।
দেখতে দেখতে দু'বছর কেঠে গেল।তাহসানের শাশুড়ি কত করে তাকে বললেন,বাবা তুমি একটা বিয়ে করে নাও।কিন্তু তাহসান আজো তার তাযকিয়ার অপেক্ষায়।        গল্প-
                অপেক্ষা-
                              সুলতান আহমদ
২ পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
★কয়েক দিন পর।
তাযকিয়া যাবে পিত্রালয়ে।তাহসানের মা তাহসানকে বললেন,বৌ মা কে নিয়ে যা,কিন্তু তাযকিয়া চায়না যে,তাহসান তার সাথে যাক।
সে রাস্তায় গিয়ে তাহসানকে বলল;আপনি আমাকে নিয়ে দেয়া লাগবেনা,আমি একাই যেতে পারব।
তাহসানকে ছেড়ে সে একাই একটি C.N.Gতে উঠল।তাহসান তার পিছু পিছু মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছে। তাহসান তাযকিয়ার পিছু যাচ্ছে দেখে,তাযকিয়া C.N.G থামিয়ে তাহসানকে আচ্ছামত গাল-মন্দ করে তাড়িয়ে দিল।
★তাহসান বাড়ি এসে তার শাশুড়ি আম্মাকে ফোন দিয়ে যানতে চাইল তাযকিয়া বাড়িতে গিয়েছে কি না?
শাশুড়ি আম্মা বললেন না!সে তো আসেনি।কি হয়েছে বাবা?তাহসান সব খুলে বলল।
তাহসান মহা চিন্তায় পড়ল।কোথায় গেল ও।অনেক খুঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মিলল না।
যে দিন তাযকিয়া গিয়েছিল ঐ দিন রাতে তাযকিয়ার ফোন থেকে তাহসানের ফোনে একটা S.M.S এল যে,আমি সাহেদের সাথে এসে গেছি।তাই আমাকে আর খুঁজিয়োনা।S.M.Sটা দিয়েছিল সাহেদ।তাহসান বিষয়টা বুঝতে পারল।
★কিন্তু সাহেদ যে,এত নিকৃষ্ট তাযকিয়া তো আর আগে জানতোনা।তার বান্ধবীরা তাকে কত করে বলেছেন যে,সাহেদ ছেলেটা ভালনা,সে খারাপ। আরো কত কিছু,কিন্তু'চোরে কি শুনে ধর্মের কাহিনী'
আজ তাযকিয়া হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছে যদি তার বান্ধবীদের কথা শুনত।
★সাহেদ তাযকিয়াকে কিডন্যাপ করেছে বাহিরা দেশে পাচার করার জন্য।তাযকিয়ার ভাগ্য ভাল,সাহেদ যে ফ্লাটে তাকে নিয়ে উঠেছে ঐ ফ্লাটের পাশের ফ্লাটে একজন ভদ্র মহিলা সাহেদের চলা-ফেরা দেখে সন্দেহ হল।
এমনকি মাঝে-মধ্যে কোন এক মহিলার চিৎকার ও শুনতে পেতেন।তাই তিনি পুলিশ এনে তাযকিয়াকে উদ্ধার করেন।কিন্তু সাহেদকে পাননি সে পালিয়েছে।
★তাযকিয়ার মুখ থেকে সবকিছু শুনে ঐ মহিলা দুঃখ প্রকাশ করলেন।
এবং বললেন তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমাকে তোমার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেব।সে বলল না,আমি আমার এই মুখ তাদের দেখাতে চাইনা।
আপনি আমাকে একটা চাকরী দেবেন?ঐ ভদ্র মহিলা উনার অনাথ আশ্রমে তাকে চাকরী দিলেন।
★দু'বছর পর।
দেখতে দেখতে দু'বছর কেঠে গেল।তাহসানের শাশুড়ি কত করে তাকে বললেন,বাবা তুমি একটা বিয়ে করে নাও।কিন্তু তাহসান আজো তার তাযকিয়ার অপেক্ষায়।

Monday, October 22, 2018

অপেক্ষা-
সুলতান আহমদ
প্রথম পর্ব=^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_^_
অপেক্ষা হল শুদ্ধতম ভালবাসার একটি চিহ্ন।
সবাই ভালবাসি বলতে পারে
কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালবাসা প্রমাণ করতে পারেনা।
"অপেক্ষা"শুধুই একটি শব্দ,যার মর্ম তারাই বুঝে যারা এই শব্দের মধ্যেপড়ে।
★কাল তাহসানের বিয়ে।
কি যে আনন্দ আজ তার তা কেবল সে-ই জানে।সে তার সপ্নের রানীকে পাবে আগামীকাল।তাহসানের বাড়িতে চলছে ধুমধাম উৎসব।হৈ- হুল্লুড়ে বাড়িটা আজ যেন কোন পিকনিক সেন্টার।
এদিকে তাহসানের অবস্থা নাজেহাল।শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা।রাতটা যেন শেষ হচ্ছেনা।রাত্রিটা যেন তার কাছে অন্য দশ রাত্রির সমান মনে হচ্ছে।
সে অপেক্ষায় আছে কবে সকাল হবে,আর সে তার সপ্নের মানুষকে পাবে।
এদিকে তার সপ্নের রানী তাযকিয়াদের বাড়িতেও মহা উৎসব হচ্ছে।
★আজ,তাহসানও তাযকিয়ার বিয়ে।
তাযকিয়াদের বাড়ির লোকেরা অপেক্ষায় আছে কবে বর আসবে?
বর আসলেন।বিয়েটা হয়ে গেল তাদের।
আক্বদ অনুষ্ঠান শেষ করে তারা কনে কে নিয়ে গেল।
★আজ তাদের বাসররাত।
কত সপ্ন তাহসানের,সে ঘরে ঢুকেই কনে কে উদ্দেশ্য করে সালাম দিল।
সালামের উত্তর ও এল।
সালামের উত্তর দেয়ার পর তাহসান কথা বলার পূর্বেই তাযকিয়া বলে উঠল আপনার সাথে আমার কয়েকটি কথা আছে।
তাহসান অবাক না হয়ে পারলনা।আজকের এই রাতে আমি কথা বলার আগে কি এমন কথা যা,ও বলতে চায়!
তাহসান অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাযকিয়ার দিকে।
কি বলতে চায় তাযকিয়া?কি এমন কথা যা আমি কথা বলার আগেই বলতে হবে তাকে?
এমন অনেক প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে তাহসানের মনে।
তাযকিয়া বলল;কি হল আপনি কিছু বলছেন না যে?
তাহসান কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এল।
সে বলল হ্যা বলুন আপনার কি কথা।
★তাযকিয়া এবার বলা শুরু করেছে।
তাযকিয়া বলছে আজ আপনাকে একটা কথা বলব,আমার কথাটা রাখবেন?
তাহসান বলল,হ্যা বলুন আপনার কথা।
তাযকিয়া বলল,দয়া করে আপনি আমাকে স্পর্শ করবেননা। আমার সাহেদের সাথে রিলেশন আছে।আমি শুধু ওর।আর কারো নয়।
প্লিজ, আপনি আমার উপর স্বামীর অধিকার খাটাবেন না।
তাহসান নিরব,এ কি শুনছে সে!
সকল কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটল তার।
সে বলল;ঠিক আছে আমি তুমার উপর অধিকার স্থাপিত করবনা।আমরা আপাতত বন্ধু হয়ে থাকতে পারি।
তবে তাযকিয়া তুমার প্রতি আমার একটি কথা,তুমি আমার পরিবারকে এ সম্পর্কে কিচ্ছু বলবেনা।তারা যেন কিছুই যানতে না পারে।

Friday, October 19, 2018


অশ্রুসিক্ত আখি!

গতকাল থেকে হুজুর অসুস্থ। মারাত্মক ডাইরিয়া। সকালে বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। ধরে ধরে উঠাতে হল। যখন প্রিন্সিপাল সাহেবের ওফাতের খবর দেওয়া হল, রুগাক্রান্ত চেহারাটা আরো ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। দু'ফুটা অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। যেন একেবারে আপন কাউকে হারিয়েছেন। সারাদিন হা-হুতাশ করতে দেখা গেলো। শেষপর্যন্ত চেষ্টা করলেন জানাজায় শরিক হওয়ার, কিন্তু পারলেন না। অবশেষে আসরের পর দ্বারে ক্বাদিম মসজিদে ছাত্রদের নিয়ে কোরআন শরিফ খতম করলেন। দোয়ার পুর্বে কিছুক্ষণ প্রিন্সিপাল সাহেবের জীবনী আলোচনা করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এই সামান্য আলোচনায় ফুটে উঠলো প্রিন্সিপাল সাহেব আমাদের জন্য কতবড় নেয়ামত ছিলেন। হুজুর বার বার বলছিলেন "প্রিন্সিপাল সাবকে আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন" তাঁর সাহসিকতা আলোচনা করতে গিয়ে অনেক স্মৃতিচারণ করেন। বিশেষত কাজির বাজারের প্রতিষ্ঠা, আইন-শরিয়ত সম্মেলন, তাসলিমা খেদাও আন্দোলন, শাবির মুর্তি বিরুধী আন্দোলন ইত্যাদি উল্লেখ করেন। পরিশেষে সালেহ আহমদ সালিক কালিগঞ্জি হুজুর দোয়া করেন।
রাব্বে কারিমের কাছে আবেদন, তিনি যেন প্রিন্সিপাল সাহেবকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন। আর হুজুরকে দীর্ঘায়ু দান করেন। আমিন,,,,
লেখক...
আব্দুল আহাদ রাহিন
সাধারন সম্পাদক.....আল হিলাল ছাত্র সংসদ
জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর

মাফুজ সাহেব.........

সিলেটের কোনো এক প্রতিবাদী সমাবেশ ছিল এটি। সম্ভবত সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে হয়েছিল। হক্কানি উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল তখন। সভা মঞ্চে প্রথম সারীতে আসন অলংকৃত করে যেসব মনীষী বসে আছেন; তাঁদের অনেকেই আজ এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ছেড়ে আপন মাওলার সান্নিধ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। বাম দিক থেকে:
* প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রাহমান রাহিমাহুল্লাহ
* সদরে এদারা (সাবেক), শায়খুল হাদিস মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকুটি রাহিমাহুল্লাহ
* জয়িমুল কওম মাওলানা হাবিবুর রাহমান রাহিমাহুল্লাহ
* শায়খুল হাদিস মাওলানা আউলিয়া হোসাইন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ (অধমের আব্বাজান)
* এদারা বোর্ডের দীর্ঘদিনের সেক্রেটারি, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল বাসিত বরকতপুরি রাহিমাহুল্লাহ
* শায়খ মাওলানা শফিকুল হক আমকুনি সাহেব হাফিযাহুল্লাহ
* সদরে এদারা (বর্তমান), মুফাক্কিরে ইসলাম শায়খ মাওলানা যিয়া উদ্দিন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ
* হজরত মাওলানা আব্দুল খালিক শায়খে চাক্তা হাফিযাহুল্লাহ
দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা মৃত হজরতদের জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন এবং জীবিত হজরতদের সুস্বাস্থ্য সহ দীর্ঘ হায়াত দান করুন। আমিন।

Tuesday, October 16, 2018

                       আত্মীয়
                                    সুলতান আহমদ



=_=_=_=_==_=_           =_=_==_=_=_=_=
আত্মীয়,শব্দটা আত্মা থেকে নির্গত।
 অর্থাৎ আত্মীয় এমন কাউকে বলে যার সাথে আত্মার মিল রয়েছে।আত্মীতার সম্পর্ক হচ্ছে তাই।
আত্মীয় কাকে বলে জানলাম।
এখন আত্মীয়তা কত গভীর একটি সম্পর্ক, যা টিকিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য।
আমাদের জীবনের কর্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।আর এই আত্মীয়তা টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের পায়ারে নবী(সঃ)ও তাকিদ দিয়েছেন। এটি কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ তা তো বুঝা যায়ই।
যদি এটি গুরুত্বপূর্ণ না হত,তা হলে নবী(সঃ)আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বলতেননা।
আর আত্মীয়তা ছিন্ন করা কত বড় মারাত্মক অপরাধ তা আমরা একটু জেনে নেই।
নবীজী(সঃ)বলেছেন।আত্মীয়তা ছিন্নকারী শয়তানের ভাই।
আহ!আমরা কতনা আত্মীয়ের সাথে দুর্ব্যবহার করি।
আমি যদি একটু সাবলম্বী হই,তাহলে আমাদের গরিব আত্মীয়দের আমরা মানুষই মনে করিনা।তাদের অবজ্ঞা করি।তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি,তাতে আমাদের বিবেক একটুও বাঁধেনা।
আমরা বিলাসিতা করি অথচ সে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তার কী খবর রাখছি?
অথচ আমাদের উপর তাদের কত হক্ব রয়েছে।আমরা কী তা পালন করছি?
একটু ভাবুন,তাদের প্রতি সদয় হোন।তাদের হক্ব আদায় করুন।
আল্লাহ আমাদের কে আত্মীয়তার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার তাউফিক দান করুন এবং তাদের হক্ব সমূহ সঠিক ভাবে আদায় করার তাউফিক দান করুন।
                    সপ্ন পূরণ
                                        সুলতান আহমদ

<><><><><শেষ পর্ব ==^== <><><><><><>

মারুফ,যখন ছ'মাসের।
তখন তার পিতা মারা যান।আর এতে রুমানার সপ্নে কিছুটা বাটা পড়ে যায়।কিন্তু রুমানা থেমে থাকেনি।
সে আল্লাহর উপর ভরসা করে কল্পনা করেছে তার সপ্ন পূরণ করবেই।ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করবে।
সে তার সপ্ন পূরণের জন্যে মানুষের বাসায়-বাসায় কাজ করে।
এখন মারুফও ৭/৮বছরের হয়ে গেছে।
মা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন মাদ্রাসায়।সে নিয়মিত মাদ্রাসায় যায়।খুব মেধাবী ছাত্র সে।
একদিন মারুফ মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখে তার মা এক বাড়িতে কাজ করছেন।বাড়িতে আসার পর মা তাকে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছেন।কিন্তু সে খাচ্ছেনা।
বলছে তুমি আমার জন্য এতো কষ্ট কর কেন মা?
মা বললেন;বাবা তুই বড় হয়ে এ দেশের নাম করা একজন ব্যক্তি হবে এটাই আমার সপ্ন,এজন্যই এত কষ্ট করি।
মারুফ যখন ৯বছরের।তার মা হঠাৎ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন।স্বাভাবিক কিছু ঔষধ চলছিল।কিন্তু অসুস্থতা কোন সুস্তির দিকে নেই।
এক রাতে মারুফের মায়ের রুগ এত বেড়ে যায় যে,বাচার সম্ভাবনা নেই।
মারুফ ঐ গভীর রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে বাজারে গিয়ে ডাক্তারের কাছে ঔষধ চাইল।
মারুফের কাছে তো টাকা নেই।ঐ ডাক্তার মারুফকে ঔষধ দিলনা।
কি করবে এই ছোট্র মারুফ!নিরুপায় হয়ে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে।
হঠাৎ মারুফের এক উস্তাদ এসে উপস্থিত।উনার একজন প্রিয় ছাত্র এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে কেন?
মারুফ তার উস্তাদকে সব কিছু খুলে বলল।
তিনি তো আর ঐ ডাক্তার নন,সয্য করতে পারলেননা প্রিয় ছাত্রের দুঃখ।ওর মায়ের জন্য ঔষধ কিনে দিলেন।
মারুফ খুশিতে আত্মহারা,এবার তার মা কে বাচানো যাবে।কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস।
মারুফ ঔষধের ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে দেখে ওর মা আর বেচে নেই।
ঔষধের ব্যাগ হাত থেকে পড়ে গেল তার।
মারুফ;মা মা বলে চিৎকার শুরু করল।আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করবেই।
আজ মারুফ টগবগে যুবক।সিলেটের নাম করা একজন ব্যবসায়ী।
সে তার মায়ের নামে একটি হসপিটাল খুলেছে।যাতে তার মায়ের মত কোন গরিব লোকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু না হয়।
মারুফ আজ ঠিকই প্রতিষ্ঠত হয়েছে।সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করেছে।
ঐ দিনের সেই ছোট্র মারুফ আজ প্রতিষ্ঠিত একজন আলেম ও ব্যবসায়ী।
মারুফ তো প্রতিষ্ঠিত হল,মায়ের সপ্ন পূরণ করল।
কিন্তু মা কি দেখছেন যে,তার ছেলে মারুফ আজ তার সপ্ন পূরণ করেছে?
বিঃদ্রঃ এটা কাল্পনিক একটা গল্প।
                       সপ্ন পূরণ
                     সুলতান আহমদ

<><><><><১ম পর্ব ==^==  <><><><><><>
মারুফ,সে তার মায়ের সপ্ন পূরণ করতে কি পারবে?
রুমানা;গ্রামের আজ-পাড়া গায়ে তার বাড়ি।হেসে খেলে দিন কাটে তার।কারণ এখনো তো সে ৬/৭ বছরের ছোট্র শিশু।
এখন সে স্কুলে যাওয়া ও শুরু করে দিয়েছে।
গরিবের মেয়ে,সে তো আর ইংলিশ মিডিয়ামে যেতে পারবেনা।
গ্রামের জীর্ণশীর্ণ এক প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হল।প্রাইমারী পড়া শেষ করে পাশের গ্রামের এক হাইস্কুলে ভর্তি হল রুমানা।
রুমানা;খুব সহজ-সরল একটা মেয়ে।
এখন সে বড় হয়ে গেছে।আজ s.s.c পরিক্ষা শেষ হল রুমানার।সে অনেক খুশি। রিজাল্ট বের হওয়ার পর কলেজে পড়া লেখা করবে।
কিন্তু সে যে গরিবের মেয়ে,সে কি পারবে কলেজে পড়তে,তার কি কলেজে পড়ার সপ্ন পূরণ হবে?
এদিকে বাবা তার বিয়ের কথা ভাবছেন,মেয়েটা বড় হয়ে গেছে বিয়ে তো দিতেই হবে।
রুমানার জন্য একটা ভাল সম্মন্ধ এল।ভাল পরিবার।সব কিছু ঠিক -ঠাক আছে।গরিবের মেয়ে সে,ধনী-বড়লোক কেউতো আর আসবেনা।তাদের মতই একজন।
আজ রুমানার বিয়ে।তার কলেজে পড়ার সপ্ন, সপ্নই থেকে গেল।
স্বামীর বাড়ি ভালই দিন কাটছিল তার।বছর দুয়েক পর রুমানার উদরে জন্ম নিল এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
এখন তাদের সব সপ্ন ঐ সন্তানকে নিয়েই।
তার নাম রাখেন,
মারুফ।

Tuesday, October 9, 2018



হাটহাজারী মাদরাসায় জামায়াত-শিবিরের হামলা


রাত সাড়ে ৯টা। আনুমানিক শ'খানেক সশস্ত্র যুবক একটি ট্রাকযোগে মাদরাসার গেটের সামনে নেমে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মাদরাসার ভেতরে ডুকে পড়ে। তারপর ৩/৪টা পটকা ফুটিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চালায়। কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একদল দফতরে ইহতেমাম, আরেকদল দাওরায়ে হাদীসের নৈশকালীন ক্লাস চলাকালে দাওরার শ্রেণিকক্ষের দিকে এবং আরেকটি দল পাঠাদানের জন্য ব্যবহৃত মাইকের সেট রাখা কক্ষের দিকে অগ্রসর হয়।
১৯৮৫সালের ১০ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
১ম দল ধমকি ও অশালীন কথা বলে মুহতামিম সাহেবের বন্ধ দরজা ভাঙার চেষ্টা চালায়। ২য় দল দারুল হাদীসে উঠে মুসলিম শরীফের ক্লাসরত ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালায় এবং লাথি দিয়ে কিতাবপত্র এদিক সেদিক ফেলে দিতে থাকে। এসময় দরসদানকারী মুহাদ্দিস মুফতি আযম আহমদুল হক উপায়ন্তর না দেখে সেখানেই সিজদা পড়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে থাকেন।
ইত্যবসরে হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্ররা মাদরাসার সম্পদ, মুহতামিম সাহেব এবং শিক্ষকদের রক্ষার্থে এগিয়ে আসে। ইট-পাটকেল ছুড়ে আক্রমণকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। (উল্লেখ্য, তাদের হাতে ছিল বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছুরি, কিরিচ, লোহার রড, লাঠি ও মরিচের গুড়া ইত্যাদি। মারাত্মকভাবে সন্ত্রস্ত করতে এনেছিল খেলনা পিস্তল। সাথে আনে মাদরাসার রুম-গেট বন্ধ করতে বিপুল পরিমাণে তালা।)
এদিকে দপ্তরে ইহতিমাম আক্রান্ত হলে মুহতামিম সাহেব থানা এবং শহরের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের টেলিফোনযোগে সংবাদ জানিয়ে সাহায্যের আবেদন করে।
'মুহতামিম সাহেব খুন হয়েছেন' এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার এলাকাবাসি দ্রুত এসে মাদরাসার গেটে জড়ো হয়। কিন্তু ভেতর থেকে গেট বন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের দল পৌছে যায়।
এসময় মুহতামিম সাহেব মাইকে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে নিজের অক্ষত থাকার কথা ঘোষণা দিয়ে পুলিশদের ভেতরে প্রবশের অনুরোধ জানায়। পুলিশের সাথে অনেক মানুষ ঢুকে পড়ে। এরপর ছাত্র-জনতা চতুর্দিক থেকে আক্রমণকারিদের মুকাবেলা করে। এরই মধ্যে শহর থেকে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স এসে পৌঁছে।
উভয় ফোর্স যৌথভাবে অল্পসময়ে ৪১জন আক্রমণকারিদের গ্রফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনেকে দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
সংঘর্ষে অনেকে হতাহত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ১৪৪ধারা জারি করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহরের একটি মাদরাসা, ভার্সিটি এবং কলেজের ছাত্ররা ছিলো।
নীল নকশা উদ্ধার :
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হামলার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত আগাম নকশা উদ্ধার করে।
নকশায় কোন কোন ভবনে কে কে অংশ নিবে, কে কোন দায়িত্ব পালন করবে এবং হামলাকারির সংখ্যা বর্ণনা রয়েছে। আরো ছিলো, টেলিফোন, মাইক ও গেটের দায়িত্বশীলদের তালিকা। এমনকি কিরিচ, ছুরি, লাঠি, বোতল, মরিচের গুড়া, তালা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্তারিত বিবরণ নকশায় উল্লেখ ছিলো।
হামলার মূল উদ্দেশ্য :
হামলাকারিদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো :
এক. তৎকালীন মুহতামিম সাহেবকে অপসারণ করে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ। দুই. বর্তমান শিক্ষকদের বহিষ্কার করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ।
তিন. মাদরাসার কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন।
চার. ভিন্নমতালম্বী ছাত্রদের বহিষ্কার করে নতুন ছাত্র ভর্তি।
পাঁচ. মাদরাসার নতুন প্রশাসন সম্পর্কে প্রচার ও পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন।
উপমহাদেশের অন্যতম এই দীনি প্রতিষ্ঠানে অনেকবার হামলা করতে চেষ্টা করেছে বেদাতি-জামাতিরা। কিন্তু আল্লাহর বিশেষ রহমতে প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং ধুলিস্মাৎ হয়েছে তাদের নীল নকশা। আর ১৯৮৫ সালের উক্ত ঘটনা ছিলো হাটহাজারী মাদরাসায় হামলাকারীদের পরাজয়ের ইতিহাসের করুণ ও কালো অধ্যায়।
তথ্যসূত্র : দারুল উলুম হাটহাজারীর ইতিহাস, পৃষ্ঠা ১৪৬-১৪৮। লেখক মুফতী জসীম উদ্দীন।
হাটহাজারীর মাদ্রাসার পেইজ থেকে (কপি কৃত)

Wednesday, October 3, 2018

সুলতান আহমদ

প্রিয়!
তুমার সাথে আমার তো কোন ভিবেদ নেই।
তুমি তো আমার আত্মার প্রিয়।
হয়তো আমার কাছ থেকে কোন কারণে তুমি কষ্ট পেয়েছ।
যদিও সত্যি তুমাকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য ছিলনা।
যানি তুমি কষ্ট পেয়েছ,হৃদয়ে তুমার আঘাত লেগেছে।
এর জন্য আমি নিজেই দুঃখিত। প্রিয় আমাকে ক্ষমা করে দিয়,আল্লাহ কা ওয়াস্তে।
হয়তো অন্য কারণে,অন্য কারো উদ্দেশ্যে বলেছিলাম,কষ্ট পেয়েছ তুমি।
এ গুলো তো ক্ষমাযোগ্য।আমি ক্ষমা প্রার্থী তুমার কাছে ক্ষমা করে দিয়।

Tuesday, October 2, 2018

পায়ে পড়ি হেফাজত
............জাগ্রত কবি মুহিব খান
লেখক.রাফি সালিম

এখনও মুছেনি দাগ রাজপথ থেকে হায়,
এখনও খুনীরা হাসে সে মাতম দেখে হায়,
এখনও মায়েরা কাঁদে, ফেরেনি যে সন্তান,
এখনও হয়নি শোধ সে রাতের অপমান।
শহরে নগরে আর সহস্র পাড়া-গাঁয়,
আজও সে আঘাত কোটি মুমিনের সারা গায়,
আজও সেই ক্ষতে ছুটে রক্তের ফিনকি,
শোধিতে পেরেছো সেই রক্তের ঋণ কি?
তবে কেন সন্দেহ সংশয় শুনি আজ,
কী করে বন্ধু হলো সেদিনের খুনি আজ!
রাজপথে পিষে যারা মুমিনের গোশতো,
কী করে তারাই আজ হয়ে গেলো দোস্তো!!!
কী এমন লেনা-দেনা জালিমের সঙ্গে?
একসাথে এতো রুপ কেন তব অঙ্গে!??
যে কেড়েছে সম্ভ্রম তারই সাথে 'হাঙ্গা'!
সাবধান হেফাজত! বেঁধে যাবে দাঙ্গা।
তুমি তো কিছুই নও, শুধু এক চেতনা,
জনতার ঢল দেখে গৌরবে মেতো না,
চেতনাকে পুঁজি করে চলে যদি কারবার-
ভেবো না জনতা সব ছেড়ে দেবে বারবার।
এই ঢল বাংলার অজপাড়া, মাঠ-গাঁর,
এই ঢল কেনা নয় ঢাকা কিবা চাটগাঁর,
এই ঢল ইমানের, তৌহিদি জনতার,
চেতনার গর্জন কান পেতে শোনো তার।
অনেক দিয়েছে ব্যথা 'গাদ্দার' অতীতে,
হেফাজত পড়ে যদি সেই দুর্মতিতে-
মানুষ নেবে না মেনে, তুলে নেবে চামড়া,
ইমান বেঁচতে হেথা আসিনি তো আমরা!
অনেক লিখেছি কথা চেতনার পক্ষে,
অনেক গেয়েছি গান বিজয়ের লক্ষ্যে,
যদি দেখি হেরফের, ইঁদুরের উত্পাত,
জনতাকে সাথে নিয়ে করে দেবো উৎখাত।
লক্ষ তরুণ আর উলামা ও জনতা,
তোমাদের দিয়ে গেছে হৃদয়ের মমতা,
ইজ্জত রেখো তার; যদি হয় অন্য
চরম বেদনা আছে তোমাদের জন্য।
আমায় ভেবো না পর, আমি তোমাদের লোক,
সাফ সাফ বলি কথা, যা হবার তাই হোক,
যতো দিন আছো ঠিক, করছো না ভুলটা,
ততো দিন সাথে আছি, নয়তোবা উল্টা।
বাংলার ঘরে ঘরে হেফাজত 'শক্তি'
খুনীদের সাথে তাই নয় কোনো চুক্তি,
নয় কোনো ফন্দি বা নয় কোনো সন্ধি,
‘হেফাজত-ফাঁদে’ থাক জালিমেরা বন্দি।
চেতনাকে বিকিয়ো না, পায়ে পড়ি হেফাজত! ভুল হলে ক্ষমা নেই, দিতে হবে নাকে খত,
জনতা থাপড়ে লাল করে দেবে গালটি,
চেতনা এগিয়ে যাবে নাম- নেতা পাল্টি।
এই দেশ ইমানের এই দেশ মুমিনের,
নয় কোনো নাস্তিক মুরতাদ কমিনের,
নাম-নেতা পিছে ফেলে, এ লড়াই চলবে,
ইমানের এ আগুন ঘরে ঘরে জ্বলবে।
Md Kholilur Rahman

একজন কিংবদন্তি৷ অকুতোভয়৷ সিংহপুরুষ৷ সিপাহসালার এবং একটি প্রতিষ্ঠান, একটি আন্দোলন, একটি সংগ্রাম ও বিপ্লবের নাম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী৷
তাঁর মতো সাহস ও হিম্মত সকলের হয়না৷ পর্বতসম দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে যান দেশ ও মুল্লাতের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে৷ গর্জে উঠেন এ মর্দ্দেমুজাহিদ৷ কারো রক্ত চক্ষু পরোয়া করেন না তখন৷ অসুস্থতার ভারে অনেকটা ন্যুব্জ৷ দুর্বল শরীর নিয়েও ঈমান ও দেশরক্ষার আন্দোলনে টগবগে যুবকের মতো বুক টান করে দাঁড়িয়ে যান৷ কখনো হুইল চেয়ারে বসে মিছিলের নেতৃত্ব দেন তিনি৷
আমি অবাক ও বিষ্মিত হই তাঁর সাহস এবং হিম্মত দেখে৷ কিভাবে এতো সাহস করতে পারেন একজন দূর্বল-বৃদ্ধ মানুষ! নিশ্চয় এর পেছনে ভিন্ন কোনো শক্তি আছে৷ হ্যাঁ অবশ্যই৷ এটা তাঁর ঈমানী ও আধ্যাত্মিক শক্তি৷ যে শক্তির সামনে পৃথিবীর সকল শক্তি গৌন এবং পরাজিত৷
তাঁর সকল কাজেই রয়েছে ঈমানী ও জাতীয় স্বার্থ৷ একজন নূর হোসাইন কাসেমী-ই, যার কোনো কাজে ব্যক্তিস্বার্থ নেই৷ ইসলাম, মুসলমান ও দেশ-জাতির প্রয়োজনে নিঃস্বার্থভাবে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিচ্ছেন তিনি৷ তাই কারো সমালোচনা এবং রক্তচক্ষুতে ভয় নেই তাঁর৷ কোনো কাজে হাত দিলে পেছনে ফিরে তাকান না কখনো৷ ইস্পাত দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন! আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী মদদ এবং সাহায্যই হচ্ছে তাঁর আসল পূঁজি৷
দেশ-জাতি, ইসলাম ও মুসলমানদের প্রয়োজনে আল্লামা কাসেমীর মতো মানুষ যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকার প্রয়োজন৷ দেশ ও জাতির চরম দূর্দীন ও কঠিন এ ক্রান্তিলগ্নে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর দূরদর্শী যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই৷ দ্বীনের এই উজ্জল নক্ষত্রের সুস্বাস্থ্য, সুস্থ্যতা ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করি! আমীন!!
সম্পর্কের বাঁধন দেখা যায় না,
এটি অদৃশ্য এক বাঁধন।
ইকরামুল হক (জাবের)

সম্পর্ক হয় বন্ধুত্বের, সম্পর্ক হয় ভালবাসার, সম্পর্ক হয় একসাথে চাঁদের আলোয় কিছুটা পথ হাঁটার, সম্পর্ক হয় খুনসুটিতে মেতে থাকার, সম্পর্ক হয় কাছে থাকার। 
চলার পথে অনেকের সাথে সম্পর্ক হয়, সময়ের স্রোতে অনেক মানুষ হারিয়ে যায়। কেউ ভুল বুঝে, কেউ অকারণে ঝগড়া করে, আবার কেউবা মান-অভিমান করে। 
একসময় নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেই মানুষগুলো আবার ফিরে আসে কিন্তু তখন সম্পর্কের বাঁধনটা আগের মত থাকেনা, অবিশ্বাসের চাঁদরে ঢাকা পড়ে যায়। 
একটি পবিত্র সম্পর্কে প্রিয় মানুষটির একটুখানি অবহেলা সহ্য করা যায়না, তার একটুখানি কটু কথা সহ্য হয়না, আসলে প্রিয় মানুষটিকে খুব বেশী ভালবাসা হয়তো তাই এমন হয়। তার অবহেলার কারণে নিজেকে গুটিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে সম্পর্কের মায়াজাল থেকে, কিন্তু সম্পর্কের বাঁধন টাতো ছিন্ন করা হয়না। আর ঐদিকে বিপরীত মানুষটা ভাবে সব শেষ করে দিতে চাচ্ছি তাই এমন করছি। কিন্তু একটিবারের জন্য এটা কল্পনা করে না, যাকে এত বেশী ভালবাসি তার সাথে রাগ করি রাগ ভাঙাবে বলে, 
অভিমান করি আমাকে বুঝবে বলে,
কান্না করি কষ্টটা বুঝবে বলে, চোখের জল পড়ার আগে আমাকে হাসাবে বলে। 
কিন্তু এমনতো আর হয়না উল্টো ভুল বুঝে সেই মানুষটা দূরে চলে যায়, হারিয়ে যায় অজানা কোন গন্তব্যে। 
ভালবাসার সম্পর্কগুলো অনেক আলাদা, অনেক হৃদয়স্পর্শী। আবার সেই সম্পর্কের অবহেলাগুলো খুব বেদনাদায়ক, খুব কষ্টকর। সব সম্পর্কে কম-বেশী দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে। কষ্টের অনুভূতি ছাড়া কখনো সম্পর্ক গভীর হয়না, সম্পর্কের আসল মর্যাদা বুঝা যায়না। সেটি হতে পারে পরিবারের সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, কিংবা প্রিয় মানুষটির সাথে বাঁধা অবুঝ সম্পর্ক। 
অবুঝ বললাম কারণ, এই সম্পর্ক কোন লজিক মানেনা, কোন বাস্তবতা মানেনা, এই সম্পর্কের সিদ্ধান্তগুলো সবসময় মন থেকে নিতে হয়, আর অবচেতন মন কখনো আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত দেয়, কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়।
সবার জীবনেই একটা সম্পর্ক প্রয়োজন, আর একটি টেককেয়ার করার মত মানুষ, সেই মানুষটি হতে পারে আপনার জীবন সঙ্গী, আপনার বন্ধু। যে মানুষটি সারাটিজীবন আপনার পাশে থাকবে, আপনার মন খারাপের সময় মন ভাল করার সঙ্গী হবে, যে মানুষটি আপনার মুখে একটু হাসির জন্য অনেক কিছু করবে। যে মানুষটি আপনাকে কখনো কাঁদতে দিবেনা, কখনো হারিয়ে যেতে দেবেনা, কোন শর্ত আর অজুহাত ছাড়াই ছায়া হয়ে আপনার পাশে থাকবে........!!

Sunday, September 23, 2018

Foysol Ahmed
জামাতের এই শয়তান নাকি আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও আলেম উলামাগণকে নিয়ে কটুক্তি করেছে? কওমি সনদের স্নাতকোত্তর সমমান স্বীকৃতির বিল পাস হবার পর থেকে আমরা লক্ষ করছি, একশ্রেণীর মোনাফেক লোকদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে৷ এর কারণ বুঝে আসেনা!
অাচ্ছা এই সরকারের অধিনে কি জামাত বিএনপির কোনো ভাই চাকরি করছে না? তারা তো করছে, সু়যোগ সুবিধা ভূগ করছে৷ এই সেদিনও তো বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসা ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য বিএনপির প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ধরনা দিলেন! খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে তারা প্রতিদিনই বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন! জামাত নেতারা যখন জেলে ছিলো, তাদের মুক্তি দিতে এবং যাদের ফাসি হয়েছে তাদের ফাসির রায় বাতিল করতে বর্তমান সরকারের কাছেই তো তারা দাবী জানিয়েছিলো! এই সরকারের কাছে বিএনপি জামাত কোনো দাবী করলে সেটা কি অন্যায়ের ভেতরে পড়েনা? অবশ্যই না৷ কেননা, দাবী জানানোটা তাদের অধিকার৷
কওমি উলামাদের প্রাণের দাবী সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি৷ এখানে বর্তমান যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তার কাছে দাবী করে তা আদায় করা কওমির আলেমদের অধিকার নয় কি? আপনি বলবেন, অবশ্যই অধিকার৷ তাহলে, এই ইস্যুতে কওমির আলেমগণ নিয়ে তাদের এতো চুলকানো কেনো? দাবী যে সরকার মেনে নিয়েছে, সেই সরকার অবশ্যই অভিনন্দন পাবে৷ আলেমগণ তাদের দীর্ঘ দিনের দাবী পূরণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাতেই পারেন! এটা নিয়ে অতি উৎসাহী হবার যেমন কোনো কারণ নেই, সমালোচনারও কোনো সুযোগ নেই! তাহলে এ নিয়ে জামাত বিএনপির কিছু ভাইদের এতো মাথা কেনো?
বর্তমান সকরাকারের আমলে বাম, নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্ধেষী গুটি কয়েক লোক স্বীকৃতির বিরুধীতা করে তা অাটকে দিতে চেয়েছিলো যেমন, ২০০৬ সালে জামাতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ষড়যন্ত্রের কারণে তৎকালীন সরকারের আমলে কওমির স্বীকৃতি আটকে গিয়েছিলো৷
তাহলে কি আমরা বলবো যে, কওমি মাদরাসা শিক্ষাধারার বিরুধীতায় জামাত এবং নাস্তক্যবাদীরা মূদ্রার এপিট ওপিট!
পরিশেষে বলতে চাই,
যদি সত্যিই হয়ে তাকে,
তাহলে অনতিবিলম্বে তারেক মনোওয়রকে গ্রেফতার করতে হবে। ফয়সল জিহাদী
তারেক মনোয়ার ভাই

..........Rezaul Karim Abrar
তারেক মনোয়ার ভাই এককালের দেশের জনপ্রিয় ইসলামি সংগীত শিল্পী। তার কিছু নাত এখনো আমাদের অন্তরে ঢেউ তুলে। শিল্পী হিসাবে তারেক মনোয়ার আমার পছন্দের একজন। অবসর পেলে এখনো মাঝে মাঝে গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠি “এলো কে কাবার দ্বারে আধার চিরে চিনিস নাকি রে।”
সাঈদি সাহেব কারান্তরীন হওয়ার পর থেকে শিল্পী তারেক মনোয়ার হয়ে গেলেন বক্তা তারেক মনোয়ার! কিছু দিনের মাঝে শায়খ তারেক মনোয়ার! বক্তা হয়েই শুরু করলেন একেরপর এক লাগামহীন বক্তব্য প্রদান। শুরুতেই মুসলমানের পবিত্র কালেমায় শিরক খুঁজে পেলেন ওনি! মারাত্মক মূর্খতাপূর্ণ এবং ভ্রষ্টতাপূর্ণ কথা তিনি জনসমক্ষে প্রচার করতে থাকলেন। অথচ হাদিস, তাফসির এবং ফিকহের কিতাবের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এ কালেমা! আমাদের পক্ষ থেকে দলিল প্রমাণসহ বারবার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আমার জানামতে তারেক মনোয়ার ভাই এখনো তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি। তার বক্তব্য শুনে যদি কেউ বিভ্রান্ত হয়, তাহলে ওই গুনাহের ভার অবশ্যই তারেক মনোয়ার ভাইকে বহন করতে হবে।
ভাবছিলাম হয়ত ভুলে তিনি এমন বক্তব্য প্রদান করেছেন! কিন্তু দিন দিন তার স্পর্ধা আরো বাড়তে থাকল। একেরপর বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করতেই থাকলেন। ঈদের তাকবির বিষয়ে যেখানে ভুরি ভুরি সহিহ দলিল রয়েছে, সেখানে তারেক মনোয়ার ভাইয়ের চরম হাস্যকর এবং মূর্খতপূর্ণ বক্তব্য শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম! এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার মানুষ করতে পারে! বিভিন্ন মাসআলায় হানাফি মাজহাব নিয়ে তার মূর্খতাপূর্ণ বক্তব্য দেখে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। সামান্য পড়াশুনা না করেও মানুষ এমন বুক ফুলিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারে!
তারেক মনোয়ার ভাই সাঈদি সাহেবকে চাঁদে পাঠিয়েছিলেন! তিনি বলেছিলেন আমাদের দেশে পাণ্ডা মৌলভিরা এটা স্বীকার করে না! আমি চিন্তা করি যে, তিনি এতো হিংসা নিয়ে রাতে ঘুমান কীভাবে? একটি ডাহা মিথ্যা কথাকে প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি পুরো দেশের সকল আলেমদের পাণ্ডা গালি দিয়ে দিলেন? তারেক মনোয়ার ভাইয়ের জন্য উচিৎ ছিল, এই কথা বলার আগে পাবনায় গিয়ে নিজের ব্রেন পরীক্ষা করানো! আসলেই কি তিনি ঠিক আছেন? নাকি তার ছিড়ে যাওয়ার কারণে আবোল-তাবোল বকবক করছেন!
সর্বশেষ শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি দা.বা. কে তিনি ‘গাদ্দার’ বলে গালি দিয়েছেন! তারেক মনোয়ার ভাইয়ের এমন আচরণে আমি মোটেও কষ্ট পাই না। তাদের অনুসৃত ব্যক্তি মওদুদি সাহেবের কলম থেকেতো নবি এবং সাহাবিরা মুক্তি পাননি! যিনি কলমের আঘাতে রক্তাক্ত করতে চেয়েছেন মুসা আ., ইউনুস আ. কে, রক্তাক্ত করতে চেয়েছেন মুয়াবিয়া এবং মুগিরা বিন শুবা রা. এরমত শীর্ষস্থানীয় সাহাবাদের, তার একজন অনুসারী যদি আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে গালি দেয়, সেটা আমরা তোড়াই কেয়ার করি! তারেক মনোয়ার ভাই যদি এখানে স্বীকৃতির পক্ষ নিতেন, তাহলে আমি অবাক হতাম!
তারেক মনোয়ার ভাই! আপনাদের হিংসা আমাদের বুনো আনন্দ দিচ্ছে! আপনার মত হিংসুকরা বেঁচে থাকা জরুরী। কারণ হিংসুকের হিংসা আমাদের কাজের উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। তবে যেহেতু আমি সংগীতের ভক্ত, এজন্য দোয়া করা মৃত্যুবরণের আগে আল্লাহ যেন আপনাকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পতাকাতলে আসার তাওফিক দান করেন। অন্তত নবি বিদ্বেষি এবং সাহাবা বিদ্বেষি হয়ে কবরে যেতে না হয়।
হাঃরাসেল হাদী
স্বীকৃতি নিয়ে কেন বিকৃতি।

.....................................
শাপলা অামার! জলে কেন তোমার?
সেদিন তুমি ছিলে কই? যেদিন জুলুম ছিলো অথৈ?
স্বীকৃতি অামার পোড়ে কেন তোমার?
যূগ যূগ ধরে তুমি কই? সমাজে মুল্য যখন অামার নেই?
শাপলাকে স্বীকৃতির সাথে কেন মিলাও?
না কি উপহাস করে অানন্দ পাও!
মনে রেখঃ
সারা দুনিয়া এনে দিলেও! শাপলার বদলা হবে না,
সনদের স্বীকৃতি? সে তো অামার পাওনা!
পাওনা দিয়ে বদলা শোধ? তুমি অাসলেই নির্বোধ!
তোমাদের কি লজ্জা করেনা?
চার যূগ পরে যারা ফিরে পেল তাদের পাওনা!
তোমরা সেটাও মেনে নিতে চাওনা!
অাসলে তোমাদের সমস্যাটা অামরা ধরেছিঃ
কিন্তু বলতে চেয়েছিলামনা! এবার বলতে বাধ্য করলে!
তবে শোন!
যোগ্যতার বিচারে এবার তোমাদের ভাতে মরার পালা!
কওমীরা অাগাবে যোগ্যতা দিয়েই পরবে জয়ের মালা।
হিংসা করোনা বন্ধু!
হিংসাতে প্রকাশ পাবে তোমার ব্লাডের পরিচয়!
হিংসা দিয়ে ঠ্যাকাতে পারবেনা কওমীর জয়।
কালেক্ট:
ক্বওমী সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সিলেটে এদারা বোর্ড'র শোকরানা মিছিল।

কওমী মাদরাসা সনদ'র সরকারী স্বীকৃতির চুড়ান্ত বিল সংসদে পাশ হওয়ায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ রবিবার, বাদ জুহর নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক দিয়ে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া রেঙ্গার বিশাল কাফেলা সহ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে বিশাল বিশাল শোকরানা মিছিল এসে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে প্রস্তুতি সভায় মিলিত হয়।
বোর্ড'র চেয়ারম্যান আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দিন'র সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছির'র পরিচালনায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ববর্তী প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা'র মুহাদ্দিস মাওলানা তালেব উদ্দিন শমশেরনগরী।

বোর্ড'র পরিদর্শন ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক। মাওলানা ইউসুফ খাদিমানী। জামেয়া রেঙ্গার শিক্ষক মাওলানা ফজলুর রহমান মাধবপুরী। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্র জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি কে এম তাহমীদ হাসান। রেঙ্গা আঞ্চলিক শাখা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি হাফিজ আহমেদ সাঈদ সহ সিলেটের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আগত শিক্ষক ও ছাত্ররা।
মিছিলটি শেষে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়। এবং সভাপতির সমাপনি বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে মিছিল ও পথসভার সমাপ্তি ঘটে।

Monday, September 17, 2018

শায়খ আব্দুল হাই রাহ. জোন এর অভিষক অনুষ্ঠান সমপন্নন
ছাত্র জমিয়ত জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর শাখার অঙ্গসংগঠন শায়খ আব্দুল হাই রাহ. জোন বিয়ানীবাজার শাখার কাউন্সিল ও অভিষেক অনুষ্ঠান গতকাল আসরের নামাজের পর দারে জাদীদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক, বিশিষ্ট ইসলামি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাফিজ মাওলানা ফরহাদ আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বিয়ানীবাজার উপজেলার সভাপতি হাফিজ মাওলানা মারুফুল হাসান ও ছাত্র জমিয়ত কুড়ারবাজার ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা সাহেদ আহমদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাসুম বিল্লাহ। স্বাগতবক্তব্যে নবগঠিত কমিটির সাহিত্য সসম্পাদক হাফিজ হামিদুল হক এমদাদ অতিথিবৃন্দদের বরণ করেন এবং সংগঠনিক অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ আহমদ- দায়িত্বশীলদের পদবিন্যাস করে সকল দায়িত্বশীলের কাজের ধরণ বুজিয়ে দিয়ে আগামীদিনের সকল কর্মসূচি আগ্রহচিত্তে পালন করার নির্দেশ দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মারুফুল হাসান- সকল কর্মী ও সদস্যবৃন্দকে শপথনামা পাঠ করান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের সবাই নিজ দায়িত্ব বুঝে নিয়ে দায়িত্বপালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। সবশেষে ছাত্র জমিয়ত জামেয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আব্দুল কুদ্দুসের মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

Sunday, September 16, 2018

বার্তা প্রেরক. হা. লিয়াকত আলী                                        
আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরে ছাত্র জমিয়ত জকিগঞ্জ জোন এর অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন:

<<<<…<<…>>>>>>>
১৬– ০৯ -২০১৮ ইংরেজীতে জামিয়া দারে জাদীদ মিলনায়তনে শাখার সভাপতি   মুফতি ইয়াহইয়া বিন আসআদ সাহেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক  হাফিজ মুখতার হুসাইন  এবং সাংগঠনিক  সম্পাদক হা: লিয়াকত আলীর যৌথ  পরিচালনায়


 জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর বিয়ানীবাজার সিলেট ‘র ছাত্র জমিয়ত জকিগঞ্জ জোন এর অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়।
 শুরুতে কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন হা: মাহবুবুর রাহমান ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন আব্দুর রাহমান।
♦প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত জামিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হা:আব্দুল কুদ্দুস।
•♦বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হা: হুসাইন আহমদ।
 উপস্তিত ছিলেন সহ সভাপতি : হাফিজ মাওলানা আলী আহমদ, সহ সভাপতি মাষ্টার আনোয়ার হুসাইন ।সাবেক সাধারণ সম্পাদক : আব্দুল হাসিব
 সহ সাধারণ সম্পাদক : সাইফুর রারহমান
সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক : হাফিজ রশিদ আহমদ ,
 প্রচার সম্পাদক : আব্দুল্লাহ মাহফুজ , ,
 সহ প্রচার সম্পাদক : আলিম উদ্দীন ,
অর্থ সম্পাদক : মাহমুদুল হাসান ,
সাহিত্য সম্পাদক : হাফিজ মাহবুবুর রাহমান ,
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক : আব্দুল মুহাইমিন ,
 অফিস ও পাঠাগার সম্পাদক : আব্দুর রাজ্জাক ,   সদস্য  জাহিদুল ইসলাম , ছায়েম আহমদ,  ইমরান আহমদ , আব্দুল হালীম ,সুলতান আহমদ আবু হুরায়রা সহ প্রমুখ।

Friday, September 14, 2018

আইকন ফাউন্ডেশন বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন।

অদ্য ১৪ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার বিয়ানীবাজারস্থ জনতা মার্কেটের ২য় তলায় আইকন ফাউন্ডেশন বিয়ানীবাজার উপজেলার দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। শাখার সমন্বয়ক মাওলানা সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে হাফিজ আশরাফুল ইসলাম ও মাওলানা জাকারিয়া বকরের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ জাকির বিল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক বলেন:সমাজের প্রতিটি সেক্টরে প্রয়োজন প্রশিক্ষনের। একজন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত দায়িত্বশীলের সমাজে ভালো কিছু করার মনভাব তৈরী হয়। তিনি আরও বলেন: সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে দায়িত্বশীলদের উদার মনের অধিকারী হতে হবে। পরিশেষে দায়িত্বশীলদের রক্তের গ্রুপ নির্নয় পদ্ধতি প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষন কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হিফজুল আমীন খান,মাওলানা তারেক আহমদ,রেদওয়ান আহমদ,জাহিদ আহমদ,আবু বকর সিদ্দীক,হাবীব উল্লাহ,হাফিজ শাহীদ আহমদ প্রমুখ।

Thursday, September 13, 2018

বিয়ে
  লেখক-  ফয়সল আহমাদ


[এক]
বৃষ্টির দিনে— কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুম, মটর ভাজা, লুডু খেলা এসব মাঝেই বৃষ্টির দিনটা আমার বেশ ভালো লাগে। পেখম মেলতে উদগ্রীব ময়ূরের মতো আমিও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করি; কখন আকাশ গর্জাবে, বিজুলী চমকাবে। তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে মুষলধারে বৃষ্টি— টিনের চালে ঝুমঝুম শব্দে কান ঝালাপালা হয়েগেছে। এদিকে ক'দিন থেকে মন খারাপ। মানসিক ভাবে অসুস্থ। ভালো লাগাটাও খারাপে বদলেছে। সব মিলিয়ে এবারের বৃষ্টি খারাপ না লাগলেও, ভালো যে লাগছে এমনও না। 

[দুই]
মন খারাপের দিনে— চিরচারিত অভ্যাস অনুযায়ী জানালার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সৃষ্টিকর্তার বৈচিত্রময় সৃষ্টিই অবলোকন করছি। হঠাৎ দেখি—  একটা কাক কী যেন হারিয়ে এমন ভাবে খুঁজছে, যেভাবে একটা মেয়ে হারিয়ে যাওয়া আংটি কিম্বা প্রিয়জনের দেয়া গিফট খুঁজে। আমিও কাকটির দিকে অবিনিবেশ দিই।
-ভাইয়া! ঘরে মেহমান এসেছেন। আম্মু বলছেন, আসতেন। 
 - ঠিক আছে। তুই যা। আমি আসছি।
বোনের মৃদু ধাক্কায় সম্বিৎ ফিরে পাই। চলি আম্মুর রুমে।

[তিন]
আম্মুর রুমে ঢুকেতেই একটা মেয়ের চোখে চোখ পড়লো। মেয়েটির চোখ দু'টো হরিণীর মতো ডাগর ডাগর। চোখ দু'টো যেন কারো অপেক্ষায় টলমল করছে। দেখি—  আরেকজন মধ্যবয়স্ক মহিলা আম্মুর সাথে বসে গল্প করছেন। আমি সালাম দিয়ে ঢুকতেই আম্মু বললেন— তোমার বাবার রুমে যাও। উঁহু, এসব কি? একবার মা'র কাছে তো, আরেকবার বাবার দরবারে। যাক, গেলাম বাবার রুমে। সেখানে দেখি— বাবা দশ-বারোজন লোকদের নিয়ে চা-পানের মজলিস কায়েম করেছেন। সালাম করে ভিতরে ঢুকলাম। 
'দাদা আমাকে তার কাছে টেনে বসিয়ে টিপ্পনী কেটে বললেন- কি রে ব্যাটা, মানবতা দেখিয়ে নাকি মেয়েদের পাগল করে বেড়াচ্ছিস? হতবম্ভ আমি। জিজ্ঞাসু চোখে তাকালাম। বললাম- কি বিত্তান্ত দাদা?
আরে তোর মানবতা দেখে একটা মেয়ে ফিদা। বলছে, বাঁচবে না আর একা!
আমি থতমত খেয়ে গেলাম। কে সেই মেয়ে? যে আমার মানবতার প্রেমে পড়েছে। নাকি, ওই মেয়ে— যাকে ঈদের রাত্রিতে আমার ছাতা তাকে দিয়ে নিজে বৃষ্টিতে ভিজে তার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলাম! দাদা কান চিমটে বললেন, কি রে? কি হলো? কিছু বলস না!
 - কি আর বলবো!
-ও আর কি বলবি? মেয়েটাকে গ্রহণ কর।
একটা মানুষ তোকে এত চায়, তার চাওয়ার মূল্যটা দিবি না?
-আমি দাদা ভাইয়ের কানে ঠোঁট লাগিয়ে গম্ভীর গলায় বললাম— দাদা ভাই, কবুল বলার আগে শুনতে হবে— মেয়েটি কি রাতে শুয়ার আগে মশারি টাঙিয়ে দিতে পারবে? কাপড় ধুইতে পারবে? দু'মুঠো ভাত মুখে তুলে দিতে পারবে? এক নযর দেখতেও হবে— মেয়ে আমার পছন্দ হয় কি না!
ছাত্র জমিয়ত জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুরের সংবর্ধনা সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন!
===================
অদ্য ১৩সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,দুপুর ২ঘটিকায় ছাত্র জমিয়ত জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুরের উদ্যোগে জামিয়ার দ্বারে কাদিম মসজিদে শাখা সভাপতি সাজিদুর রাহমান সাজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাঃসাদিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায়
#প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি,মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দিন হাফিঃ।

#সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউরোপ এর সহসাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল বদরুল সাহেব।
তিনি জামিয়াস্থ ছাত্র জমিয়তের কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

#প্রধান প্রশিক্ষক হিসাবে আলোচনা করেন যুব জমিয়ত সিলেট জেলার সহসভাপতি মাওলানা জফির উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের সংগ্রামী সভাপতি হাঃমাওলানা ফরহাদ আহমদ।
পরিশেষে শাখা সভাপতি সাজিদুর রাহমান সাজিদের নসিহত ও দোয়ার মাধ্যমে সভা সমাপ্তি হয়।


Monday, September 10, 2018

মাও.শিব্বির আহমদ সাহেব

সুন্দর চেহারা দিয়ে কি হবে?
=যদি চরিত্র ঠিক না থাকে।
উচ্চতর ডিগ্রী দিয়ে কি হবে?
=যদি অন্তরে দ্বীনের জ্ঞান না থাকে।
অঢেল সম্পদ দিয়ে কি হবে?
=যদি ঈমান না থাকে।
পৃথিবীর সব কিছু পেলে কি হবে?
=যদি আল্লাহ সাথে না থাকেন।
ভারতে সমকামীতাকে রাস্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দিয়ে মুসলমানদের খোঁচানোর ভারতীয় এই উদ্বেগের কারনে ভারত নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। ইহার দরুন ভারতে মুসলমানদের বিজয় অনেক তড়াম্বিত হবে ইনশাআল্লাহ।
কেননা ইহাতে রেন্ডিয়াদের প্রজনন অনেক বেশি হারে কমে আসবে। তাই ভারত ধ্বংসের কিনারে এসেগেছে এটা অনেকটা পরিস্কার। এই ভারতে ৩০ শতাংশ মুসলমান বসবাস, ইসলামী নিয়মনীতির মূল্যবোধ থেকে মুসলিম সমাজ এই বেহায়াপনায় কক্ষনো জড়াবে না। তাই দিনদিন দ্রুত বাড়বে মুসলিম জনগোষ্ঠী আর অল্পদিনেই রেন্ডিয়ানরা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হবে।
তারা ভুলে গেল এ্ই সমকামিতাকে মহান আল্লাহ একেবারে পছন্দ করেন না। তিনি এই সমকামিতায় লিপ্ত থাকার দরুন বর্তমান ইসরাইল ও জর্দান সিমান্তবর্তী সাদুম এবং গোমরা নগরীকে উল্টিয়ে দিয়েছেন। আজও সেই উল্টানো ডেড সি বা মৃত সাগরে কোন মানুষ ডুবে যায়না এমন নিদর্শন মহান আল্লাহ মানবজাতির শিক্ষার জন্য রেখে দিয়েছেন। তারপরও ইসরায়েলিদের প্ররোচনায় মুসলমানদের খোঁচাইতে ভারত কার্পণ্য করছেনা।
আজ ভারতের সমকামিতা বৈধধতা দেওয়ার মাধ্যমে আগামী স্বল্প দিনের মধ্যে ভারতের পতন ঘটবে এ্টা পরিস্কার হযে গেল। মহান আল্লাহ সাদুম এবং গোমরার মত ভারতকে উল্টিয়ে দিবেন না, তিনি এই জনপদে মুসলমান যুবকদের বিজয়ী করে ঐ সমকামী গোষ্টিকে উৎখাত করবেন।

Sunday, September 9, 2018

"যুক্তির তর্কটাই দর্শন; দর্শনের

ইকরামুল হক জাবের
।"
মানুষ জন্মে এক টুকরো সাদা কাগজের মন নিয়ে ৷ দিন বাড়ে, মনের কাগজে পড়ে সময়ের রং ৷ কখনো ধূসর, কখনো রঙিন ৷ ভারী হতে থাকে জীবন পাতার সঞ্চয় ৷ কালে কালে বোধের পোতাশ্রয়ে ঘর বাঁধে অভিজ্ঞতার শিকড় ৷ জন্ম নেয় জীবন দর্শন ৷
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে উপলব্ধি ধার করে সেই প্রত্যয়, জীবনকে করতে চায় সহজ ৷ শিক্ষা, সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, স্বভাব, জীবনকে আঁকড়ে থাকা অক্টোপাসের বাহুগুলো ভেতরকে ভাঙ্গে, বাহিরে দেয় সৌম্য মূর্তি ৷
"মনই আসল, মনেই নকল, মনেরই সব ছল ৷
সপ্ন দেখি আগামী দিনের।
সপ্ন!এমন একটি জিনিস যা,সবাই দেখে।কেউ সত্য সপ্ন দেখে আর কেউ অসত্য।যারা সত্য সপ্ন দেখেন তাদের জানাই সাধুবাদ আর যারা অসত্য সপ্ন দেখেন তাদের জানাই আগামী দিনে ভাল হবার পথ দেখার।আমার মতে সত্য সপ্ন যেমনঃ(১)ইসলামী শরীয়াহ মানার চিন্তা করা।
(২)মানুষকে ইসলামী শরীয়াহ এর উপর চালানোর চিন্তা করা।অর্থাৎ মানব জাতির সপ্নই হতে হবে ইসলামী শরীয়াহ এর উপর নিজে চলা ও অন্যকে চালানো।
অসত্য সপ্ন যেমনঃ(১)খারাপ কাজ করার চিন্তা করা ও তার বাস্তবায়িত করা।এক কথায় পৃথিবীর সমস্ত খারাপ কাজই হল অসত্য সপ্ন।
কেননা আল্লাহ পাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন দুটি ফিতরাত দিয়ে,(১)কেউ যদি চায় যে,সে সত্যের পথে চলতে তাহলে পারবে।(২)ঠিক তেমনি কেউ যদি চায় অসত্য পথে চলতে তাহলেও পারবে।এটাকে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির মধ্যেই দিয়েছেন।
এখন যারা সত্য সপ্ন দেখেন তারাই হলেন খাঁটি মানুষ। এই মানুষ গুলার চাওয়াই থাকে,কিভাবে মানুষদেরকে ইসলামী শরীয়াহ এর উপর চালানো যায়।এবং নিজে চলা যায়।আর এটাই তো উম্মতে মুহাম্মাদির কাজ।যারা এই কাজে নিজের জীবনকে বিসর্জন করতে পেরেছেন তারাই হবেন পরকালে ধন্য।এ গুলো বাস্তবায়নের ভিবিন্ন দিক রয়েছে।যেমনঃ(১)কাউমি মাদ্রাসা শিক্ষার দ্বারা(২)দাওয়াতে তাবলীগ দ্বারা(৩)ওয়াজ মাহফিল দ্বারা(৪)খানকার দ্বারা ইত্যাদি এ গুলো একটার সাথে অন্যটা এমনভাবে জড়িত যে,একটি বন্ধ হলে অন্যটি চলবেনা।যেমনঃ দরুন(আল্লাহ না করুন)আজ বাংলাদেশের সমস্ত কাউমি মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেল।তখন স্বভাবতই দাওয়াতে তাবলীগ বন্ধ হয়ে যাবে।কেননা যদি কাউমি মাদ্রাসা থেকে শরীয়তের হুকুম-আহকাম না জানে তাহলে সে তাবলীগ চালাবে কি করে?এক্ষেএে আমি মনে করি আমাদের দেশে কাউমি মাদ্রাসা ছাড়া অন্য গুলি চলতেই পারেনা।কেননা কাউমি মাদ্রাসা হল এই সব গুলির চাবি।কারণ,কাউমি মাদ্রাসা থেকে যদি এই সব আলীম-উলামারা দ্বীন না শিখেন তাহলে বাকি সব গুলা অচল হয়ে পড়বে।এই বাংলাদেশে দ্বীন শিখানোর মত কেউ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল,আমার দেশে পশ্চিমা সভ্যতা নামে যে সভ্যতা আমদানি করা হয়।এই পশ্চিমা সভ্যতা ওয়ালারা আজ আমার দেশের মাদ্রাসা বন্ধ করতে চাইছে।চাইছে আমার প্রিয় দেশ থেকে ইসলামকে বিতাড়িত করতে।কিন্তু আমরা তাদের সভ্যতাকে গ্রহণ করছি।অথচ তা আমাদের গ্রহণ করা উচিৎ নয়।আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন।
আজ আমাদের কিছু মানুষ সপ্ন দেখেন আগামী দিনের।
তারা চান আগামীতে কিভাবে মানুষদেরকে ইসলামী শরীয়াহ এর উপর চালানো যায়।আল্লাহ তাদের এই সপ্নকে বাস্তবায়িত করেন।এবং আমাদেরও উচিৎ তাদের সাথে কাজ করার।লেখা-পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তাদের সাথে দাওয়াতে যাওয়ার। আল্লাহ আমাদের এই সব কাজ করার তাউফিক দিন।এবং সারা বিশ্বে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করে দিন(আমিন)।
সুলতান আহমদ

Friday, September 7, 2018

আইকন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার উপজেলার সদস্য সম্মেলন অনুষ্টিত।

আইকন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার উপজেলার সদস্য সম্মেলন শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় জনতা মার্কেটের ২য় তলায় অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল হামিদ খানের সভাপতিত্বে ও হাফিজ মাওলানা দেলওয়ার হোসাইনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইকন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া মাদানীয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইয়াহইয়া বিন আসআদ, দারুস সুন্নাহ মোরাদগঞ্জ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রায়হান আহমদ, মাওলানা কালিমুল্লাহ ফাহাদ, মাওলানা মারুফুল হাসান,ডাক্তার সাইদুর রহমান অমিত।
অন্যন্যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সুহেল আহমদ, মাওলানা ইমরান সিদ্দিকী পাবেল, মাওলানা জাহিদ আহমদ, মাওলানা আবু দাউদ,আশরাফ হোসাইন, হাফিজ সালাহ উদ্দিন,আব্দুল্লাহ আল ইমরান চৌধুরী,হাফিজ রাফি সালিম,জুবের আহমদ,রেদওয়ান আহমদ, হামিদুল হক এমদাদ, হাফিজ জাহেদ আহমদ, আব্দুর রহিম সিদ্দিক, হুসাইন আহমদ, আসআদ আহমদ, মো. রেদওয়ান, মো:জাবের আহমদ, সাইফুল ইসলাম,সাহেদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম,আশরাফ হোসাইন, মাহমুদুর রহমান, শিব্বির আহমদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান বলেন, আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছে আইকন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। গরিব ও অসহায়দের পাশে দাড়ানো, স্বেচ্ছায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, রক্তদান কর্মসূচী পালন করে সমাজের জন্য কাজ করছে এ ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ সব সময় অব্যাহত থাকবে। উপজেলার সকল দায়িত্বশীলদেরকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
সম্মেলনে আগামী ২ বছরের জন্য আইকন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার শাখা কমিটি গঠন করা হয়। মাওলানা সোহেল আহমদকে সমন্বয়ক ও হাফিজ আশরাফুল ইসলাম এবং জাকারিয়া বকরকে সহকারী সমন্বয়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক।

Sunday, September 2, 2018

ইফজাল রশিদর
.
.
.
.
.

ঙ বে রঙের পাঞ্জাবী!
কওমী অঙ্গনে বেশ কিছু অপসংস্কৃতি প্রবেশ করার সাথে সাথে পাঞ্জাবী স্টাইল করাটাও ইদানিং খুব প্রতিযোগিতা মূলকভাবে প্রবেশ করছে ৷ কার থেকে কে বেশি স্টাইল করে পাঞ্জাবী বানাতে পারে তা নিয়ে এখন ছাত্রদের মাঝে চলছে রীতিমত প্রতিযোগিতা !
হয়তো বামপন্থীদের কু-দৃষ্টি এখন মাদ্রাসার ছাত্রদের নূরানী পোষাকের উপরেও পড়েছে ৷ তারা এখানেও বিজাতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া লাগাতে চায় ৷ তাই সুকৌশলে তারা প্রতিনিয়ত এমন অনেক আপত্তিকর কাজ করে যাচ্ছে ৷ বর্তমান ইসলামী শিল্পীরা এই অপসংস্কৃতির খুব বেশি শিকার৷ তাদের দেখাদেখি সাধারণ ছাত্ররাও পিছিয়ে নেই ৷
আরে ভাই! নাক কাটা, কান কাটা, হাতায় এক রং, পেটে পিঠে আরেক রং , কলারে আরেক রং ( যেন রঙের এ্যাড দিচ্ছেন ) এত্ত রং ঢঙের পাঞ্জাবী না গায়ে দিয়ে শার্ট গায়ে দেন ৷ বেশ সুন্দর দেখাবে ৷
কিন্তু প্রিয় নবীজির সুন্নতী পোষাককে বাহারি ডিজাইন করে গায়ে দেয়া নববী আদর্শের চরম অবমাননা ছাড়া আর কিছু নয় ৷ এটা কখনই শুদ্ধ এবং সঠিক সংস্কৃতি হতে পারেনা ৷ এমন ডিজাইনিং পাঞ্জাবী ইসলাম সমর্থন করে কিনা সেটাও দেখার বিষয় ৷ তা ছাড়া আমাদের আকাবিরে হযরতরা এমন পাঞ্জাবী আদৌ পছন্দ করেন কিনা সন্দেহ আছে ৷
মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ রহ.এর জীবদ্দশায় কলরবের পোষাক ছিলো ধবধবে সাদা জান্নাতী পোষাক ৷ আর এখন এক পাঞ্জাবীতে সতের রঙের ডিজাইন! এটা আর যাই হোক সুন্নতী লেবাস হতে পারে না ৷
তাই শিল্পীদের প্রতি আকুল আবেদন ৷ বিশেষ করে কলরব শিল্পীদের প্রতি ৷ মানুষ আপনাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসে ৷ আপনাদের উপর তাদের অনেক শ্রদ্ধা ভক্তি৷ আপনাদের দ্বারা যেন অন্তত সুন্নতী লেবাসের প্রতি অবমাননা প্রকাশ না পায় ৷
সাথে সাথে আপনাদের কল্যানকামী হিসেবে আমার আরেকটি অনুরোধ থাকবে— হক্কানী আলেমদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে, এবং পরামর্শ করে যদি সংস্কৃতি অঙ্গনকে পরিচালনা করা হয়, তাহলে মানুষ আপনাদের থেকে আরো বেশি উপকৃত হবে, ইনশাআল্লাহ ৷

আচ্ছা,ভালোবাসা বুঝতে শত বছর লাগে নাকি?
আরে না!ভালোবাসা বুঝতে কেবল একটি মুহূর্ত 'ই যথেষ্ট।ভালোবাসতে দিনের পর দিন,রাতের পর রাত কথা বলতে বলতে কাটিয়ে দিতে হয় বুঝি?তাও না!
ভালোবাসতে কেবল একটি অনুভূতি 'ই যথেষ্ট!কেবল একটি অনুভূতি..তবে কি ভালোবাসতে তোমার শরীর দরকার পড়ে??না,না! ভালোবাসতে শরীর লাগে না,ও'সব ত চাহিদা..চাহিদা কি আর ভালোবাসা হয়?
ভালোবাসতে কেবল তোমার একটু ডাগর আঁখির চাহনি 'ই যথেষ্ট..ভালোবাসতে কেবল একটি মন দরকার;মন...
যেমন তেমন মনে তো আর ভালোবাসা চাষ হয় না।
তাহলে সবাই ভালোবাসার মালিক হয়ে যাবে যে!
সবাই বলে ভালোবাসি..অথচ কেউ বুঝেনি ভালোবাসা কি!ভালোবাসি বললেই কি ভালোবাসা হয়ে যায়,;যায় না...সবার টা যদি ভালোবাসা হতো তাহলে কি কারো চোখ জল জমে চোখ ঝাপসা হতো?হতো না..রাতটা কি তবে নির্ঘুম হতো? হতো না...বুকটা অত চিনচিন ব্যথা 'ও করত না !তাই বলি,আজকালকার ভালোবাসা গুুলো ভালোবাসা না,বেশির ভাগই চাহিদা;ভোগের,লালসার...
তাই বলি সবাই ভলোবাসতে 'ই পারে না!কেবল কিছু মানুষ ভালোবাসতে পারে,ভালোবাসাতে পারে..
সবার বুকে ভালোবাসা জন্মে না,সবার বুক অত উর্বর না! এটাই #বাস্তবতা
বার্তা প্রেরক..রেদওয়ান আহমদ

.
.
.
ছাত্র জমিয়ত গোবিন্দশ্রী ২নংওয়ার্ড শাখার মাসিক মিটিং সম্পন্ন।
 আজ ২/৯/২০১৮ ইং রবিবার বাদ মাগরিব গোবিন্দশ্রীস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে শাখার সহ সভাপতি রুহুল আলমের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি হাফিজুর রাহমানের পরিচালনা অনুষ্ঠিত হয়।

 অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়ারবাজার ইউপির সভাপতি মাওলানা সাহেদ আহমদ, ও অর্থ সম্পাদক হাফিজ শাহেদ আহমদ।

 মিটিং আরো উপস্থিত ছিলেন
এতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত নেতা নাযিমুদ্দীন সহ সভাপতি লিয়াকত আলী, সহ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিব আহমদ,সহ সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আহমদ,

বার্তা প্রেরক আসআদুজজামান
.
.
.
.
#হিলফুল ফুযুল ইসলামি(কিশোর)সোসাইটি
সুপাতলা বিয়ানীবাজার সিলেট এর কার্যনির্বাহী পরিষদ।
*স্হাপিতঃ৩১/০৮/২০১৮ঈসায়ী*
*সভাপতি,হাঃ ক্বারী ফারুক আহমদ সাহেব।
*সহ সভাপতি,ক্বারী নাছির আহমদ সাহেব।
*সহ সভাপতি,হাঃ সাহিদ আহমদ সাহেব।
*সহ সভাপতি,হাঃ রিফাত আহমদ সাহেব।
*সাধারন সম্পাদক,ক্বারী আসআদুজ্জামান।
*যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,রাসেল আহমদ।
*সহ সাধারন সম্পাদক,রেদওয়ান আহমদ।
*সহ সাধারন সম্পাদক,জয়নুল আহমদ।
*সাংঘঠনিক সম্পাদক,মোঃ আবিদুল হক্ব।
*সহ সাংঘঠনিক সম্পাদক,নাজমুস সাকিব।
*অর্থ সম্পাদক,হাফিয সিদ্দীক আহমদ।
*প্রচার সম্পাদক,ইশতিয়াক আহমদ।
*সহ প্রচার সম্পাদক,সাইদুল ইসলাম।
*পাঠাগার সম্পাদক,শাওন আহমদ।
*সহ পাঠাগার সম্পাদক,নায়িম আহমদ।
*অফিস সম্পাদক,শাহ মোস্তফা রিপন।
*সহ অফিস সম্পাদক,সাজু আহমদ।
*সমাজ কল্যান সম্পাদক,ইমন আহমদ।
#সম্মানিত সদস্য বৃন্দ#
*সদস্য,সোহান আহমদ।
*সদস্য,আরিফুল ইসলাম ফুয়াদ।
*সদস্য,হাবিবুররহমান।
*সদস্য,সিফাত আহমদ।
*সদস্য,রিফাত আহমদ।
*সদস্য,জুয়েল আহমদ।
*সদস্য,রমজান আহমদ।
*সদস্য,মাহদীউজ্জামান।
*সদস্য,খালিদ সাইফুল্লাহ।

Friday, August 31, 2018

আইকন মেডিকেল  গ্রুপ এর আজকের মতবিনিময় সভা সম্পন্ন
বিষয় হল আগামী শুকরবার বাদ জুম'আ বিয়ানীবাজার উপজেলার আইকন মেডিকেল গ্রুপের কাউন্সিল দক্ষিন  বিয়ানীবাজার জনতা মার্কেট এর ২য় তলায় এতে আপনার সবাই আমন্ত্রিত

যারা উপস্হিত ছিলেন
Abdullah Cjb
Hifzul Amin Khan
Monjurul Hasan
সুহেল আহমদ
জাকারিয়া বকর
তারেক আল হাসান
নুরুল আমিন
Hamidul Haque Amdad
Joynulislam Jumon Cjb
জামাল উদ্দিন
প্রমুখ

Thursday, August 30, 2018

বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্র জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা সভা সম্পর্ন বিয়ানী বাজার উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্দ্যোগে প্রবাসি সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলা জমিয়ত অফিসে উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি হাফিজ মারুফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও বিয়ানীবাজার পৌর ছাত্র জমিয়ত সেক্রেটারি শরীফ অাল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে মহাগ্রন্থ কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন মাথিউরা ইউপি ছাত্র জমিয়ত সেক্রেটারি হাফিজ মনসুর আহমদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্র জমিয়ত সেক্রেটারি দিলাওয়ার হোসাইন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি ফরহাদ অাহমদ।
সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউরোপের সহসেক্রেটারী অালহাজ্ব জামিল বদরুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব জমিয়ত সভাপতি তোফায়েল অাহমদ, উপজেলা জমিয়তনেতা মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ, যুবনেতা এম এ,হাসান।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিয়া উদ্দীন ,এম মামুন, মুল্লাপুর ইউপি ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মাওলানা জয়নুল অাবেদিন,
কুড়ার বাজার ইউনিয়ন সভাপতি সাহেদ অাহমদ,
লাউতা ইউনিয়ন সভাপতি মুফতি অাব্দুল্লাহ অাল মামুন,চারখাই ইউনিয়ন সহসভাপতি অাব্দুল বাসিত, তিলপারা ইউনিয়ন সেক্রেটারি নুরুল অালম, মুল্লাপুর ইউনিয়ন সেক্রেটারি অাব্দুল্লাহ মামুন, উপজেলা ছাত্র জমিয়তের জয়েন্ট সেক্রেটারী ওয়াহিদুর রাহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ অাব্দুল্লাহ,মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক সুহাইল অাহমদ,সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক অাবু বকর শাবেল, পাঠাগার সম্পাদক কামরুল হক,সহ-প্রচার সম্পাদক জাহেদ অাহমদ,বিয়ানীবাজার পৌর ছাত্র জমিয়ত জয়েন্ট সেক্রেটারি মন্জুরুল হাসান,
সাংগঠনিক সম্পাদক অাবুল কালাম,সাহিত্য সম্পাদক হাফিজ সালাহ উদ্দিন,সমাজসেবা সম্পাদক অাসাদুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক সুলতান হোসাইন,পৌর দক্ষীনের প্রতিনিধি রেদওয়ান অাহমদ,অাব্দুল্লাহ রাহাত,হাফিজ সাদিক অাহমদ,
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার কলেজ শাখা সেক্রেটারী সাইফুর রহমান, মুল্লাপুর প্রতিনিধি মাওলানা শফিউর রাহমান খান,দুবাগ প্রতিনিধি জাহেদ, মুড়িয়া প্রতিনিধি তারেক অাল হাসান,অাশরাফুল ইসলাম টিপু,চারখাই প্রতিনিধি জাফর সরওয়ার,কুড়ার বাজার প্রতিনিধি হাফিজ সালমান,সাহেদ অাহমদ,রেজওয়ান অাহমদ অামানী,ইবরাহিম খলিল,প্রমুখ।
সংবর্ধিত অথিতিকে বিয়ানীবাজার ছাত্র জমিয়ত নেতৃবৃন্দ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সভার শেষলগ্নে মরহুম জমিয়তনেতা মাওলানা হোসাইন অাহমদ বারোকুটি রহ.এর রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।


আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর ও সুষ্টভাবে সম্পন্ন হলো বানীগ্রাম বিজনেস এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ও আইকন মেডিকেল গ্রুপের পরিচালনায় ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্নয় কার্যক্রম।

Wednesday, August 29, 2018



এক গ্রামে একজন কৃষক ছিলেন.. তিনি দুধ থেকে দই ও মাখন তৈরি করে বিক্রি করতেন। একদিন কৃষকের স্ত্রী মাখন তৈরি করে কৃষককে দিলেন বিক্রি করতে। কৃষক তা বিক্রি করার জন্য গ্রাম থেকে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। মাখনগুলো গোল-গোল রোল আকৃতিতে রাখা ছিল। যার প্রত্যেকটির ওজন ছিল ১ কেজি করে। শহরে পৌঁছে কৃষক প্রতিবারের ন্যায় পূর্ব নির্ধারিত দোকানে মাখনগুলো দিয়ে পরিবর্তে চা চিনি তেল ও তার সংসারের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আসতেন।
আজ কৃষক চলে যাওয়ার পরে দোকানদার মাখনের রোলগুলো একটা একটা করে ফ্রিজে রাখার সময় ভাবলেন মাখনের ওজন সঠিক আছে কিনা আজ একবার পরীক্ষা করে দেখা যাক। মাখনের রোলগুলো ওজন করতেই উনি দেখলেন মাখনের ওজন আসলে ১ কেজি নয় তা প্রতিটা আছে ৯০০ গ্রাম করে।
পরের সপ্তাহে আবার কৃষক উক্ত দোকানে মাখন বিক্রি করতে গেলেন। দোকানের সামনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার কৃষকের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলতে লাগলেন.. 'বেরিয়ে যাও আমার দোকান থেকে। এবার থেকে কোন বেঈমান চিটিংবাজের সাথে ব্যাবসা কর। আমার দোকানে আর কোনদিন পা রাখবে না। ৯০০ গ্রাম মাখন ১ কেজি বলে বিক্রি করা লোকটার মুখ আমি দেখতে চাইনা।”
কৃষক বিনম্রভাবে কম্পিত স্বরে দোকানদারকে বললেন- ”দাদা! দয়া করে রাগ করবেন না। আসলে আমি খুবই গরিব মানুষ.. দাড়িপাল্লার বাটখারা কেনার মতো পয়সা আমার নেই.. তাই আপনার থেকে প্রতিবার যে এক কেজি করে চিনি নিয়ে যেতাম.. সেটাই দাড়িপাল্লার একপাশে রেখে অন্য পাশে মাখনের রোল মেপে নিয়ে আসতাম।”
শিক্ষণীয় বিষয়:
আপনি অপরকে যেটা দেবেন.. সেটাই পরে আবার আপনার কাছে ফিরে আসবে.
.তা সেটা সম্মান হোক বা ঘৃণা...

Tuesday, August 28, 2018

আলোর বাতিঘর..................

জীবন থেকে নেওয়া
(১) সময়ের সাথে সাথে মানুষের আসল চরিত্র প্রকাশ পায়।
(২) আত্মহত্যা করা যদি সহজ এবং মারাত্মক কবীরাহ গুনাহ না হত; তাহলে দুনিয়ার কত যে মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নিত! দুনিয়া যতই তিক্ত হোক, মুমিনরা পরকালের আশায় ধৈর্য্য ধারণ করে এবং নেক আমলের চেষ্টা করে। কাফির, মুশরিক ও নাস্তিকরা পরকালের আশা করেনা, একারণে তাদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
(৩) বিপদে পড়লে শয়তানও আল্লাহর কাছে দুয়া করে। পানিতে পড়ে মৃত্যুর সময় ফিরাউন "আমি মুসা (আ'লাইহি ওয়া সাল্লামের) রব্বের প্রতি ঈমান আনলাম" - এই কথা বলেছিলো। অনুরূপভাবে, কঠিন অসুখে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে অনেক নাস্তিকও অহংকার ভুলে আল্লাহকে ডাকা আরম্ভ করে। তবে আল্লাহ অনেক মহান, ক্ষমাশীল ও ধৈর্য্যের অধিকারী। বান্দা যতই গুনাহগার হোক, পশ্চিম দিকে সূর্য উঠা বা কারো আত্মা গরগরা পর্যন্ত চলে না আসার পূর্ব পর্যন্ত আন্তরিক তোওবা করলে তিনি সবার ডাকেই সাড়া দেন।
(৪) সময় যত যাবে ক্রমান্বয়ে আলেমদের মৃত্যুর মাধ্যমে আলেমদের সংখ্যা কমতে থাকবে। অনুরূপভাবে, উম্মতের সাধারণ মানুষের মাঝে একে একে ভালো মানুষগুলো চলে যাবে, বাকী থাকবে শুধু নষ্ট, পচা আর অপদার্থ মানুষগুলো। মানুষ যখন নষ্ট হয়ে যাবে তখন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত সফলকাম।
(৫) পাপ হচ্ছে কারেন্ট জালের মত, একবার আটকা পড়লে বেড়িয়ে আসা খুব কঠিন। মানুষের এক পাপ বহু পাপ ডেকে আনে। পাপ হচ্ছে বিষের মতো, আন্তরিক তোওবা হচ্ছে তার চিকিতসা।
(৬) অনেকে নামাযী মুসলমান ভাইয়েরাও অপ্রয়োজনে নিজের, নিজের স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের ছবি তুলে, অথচ বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী প্রয়োজন ছাড়া ক্যামেরা বা মোবাইলে ছবি তোলা জায়েজ নয়। দেখা যায় তাদের কেউ কম্পিউটারে, মোবাইলে স্ত্রী বা মেয়ের ছবি ওয়ালপেপার দিয়ে রাখে, প্রিন্ট করে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে, ফেইসবুকে আপলোড দেয়, মানিব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এইভাবে তার আশে-পাশের পুরুষেরা তাদের ঘরের নারীদেরকে দেখতে পাচ্ছে অথচ তার কোন হুশ নেই। যেই পুরুষের মাঝে নিজের ঘরের নারীদের জন্য ঘীরাহ (zealousy) নেই, তার ঘরের নারীদের মান-ইজ্জত থাকেনা।
(৭) দুনিয়াতে আসার সিরিয়াল আছে, যেমন বাবা-মায়ের পরে ছেলে-মেয়ে, ছেলে-মেয়ের পরে নাতি-নাতনী। কিন্তু দুনিয়া থেকে যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই। অনেক বাবা/মায়ের মৃত্যুর পূর্বেই তাদের ছেলে-মেয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়। দুনিয়াতে সবচাইতে খারাপ সংবাদ হচ্ছে মায়ের কাছে তার সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ। দুনিয়াতে সবচাইতে ভারী বোঝা হচ্ছে বাবার কাঁধে পুত্রের লাশ।
(৮) নিজের স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদেরকে একটু ভালো(!) রাখার জন্য কত যে মানুষ মিথ্যা কথা বলে, অন্যকে ধোকা দিয়ে, অন্যের সম্পদ নয়-ছয় করে, আত্মসাত করে বা কেড়ে নেয়। অথচ, যাদের জন্য সে পাপ করছে, কিয়ামতের দিন তাদের কেউ-ই তার পাপের ভাগ নিতে রাজী হবেনা, বরং তার পাপের জন্য তাকে ধিক্কার দেবে।
(৯) মিথ্যা কথা বলে সাময়িকভাবে পার পাওয়া যায়, কিন্তু আখেরে বিপদে পড়তে হয়। সততা-ই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
(১০) অলসতা, উদাসীনতা, নিজ কাজে বিলম্ব করা অনেক মানুষকে উচ্চ মর্যাদা অর্জন থেকে বঞ্চিত করে।
(১১) দুনিয়া কঠিন জায়গা, ফেইসবুক, ইন্টারনেটের জগত আরো নিকৃষ্ট।
(১২) নামায ত্যাগ করা কুফুরী। সুতরাং, বেনামাযী সে যেই হোক, এমন লোক কক্ষনো ভালো মানুষ হতে পারেনা।
(১৩) যারা শিরক এবং কুফুরীতে লিপ্ত হয়, তাদের মানুষত্ব লোপ পেয়ে লজ্জাহীন, হিংস্র পশুর মতো হয়ে যায়।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেই মেয়েটার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে, তার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসী মেয়েটাকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য গণতান্ত্রিক কুফুরী রাজনীতিতে লিপ্ত ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীরা উঠে-পড়ে লেগেছে।
- ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাস্মীরের একটি গ্রাম থেকে মুসলমানদেরকে ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করার জন্য মাত্র ৮ বছরের শিশু আসিফাকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে, দিনের পর দিন পূজার ঘরে বন্দী রেখে, পুলিশকে সাথে নিয়ে গণধর্ষণে লিপ্ত হওয়া হিন্দু নরপশুদের বাচানোর জন্য সেখানকার হিন্দু মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ, কোর্ট, অনেক বিবেকহীন হিন্দুরা মিলে নির্লজ্জের মতো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ সমস্ত কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করছে। আর মুসলমানেরা ক্বুরআন, সুন্নাহ থেকে দূরে সরে গিয়ে পাপে লিপ্ত হয়ে, প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে, নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করে দুর্বল হয়ে গেছে। আল্লাহু মুস্তায়া'ন।

Monday, August 27, 2018


স্ত্রীর আবদার,স্বামীর প্রতিকার!!
আলোর বাতিঘর.............
===================

একজন শিক্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করলেন এক ধার্মিক যুবক।
বিয়ের প্রথম রাতেই স্ত্রী স্বামীকে বললেন, আমরা আমাদের দাম্পত্য জীবন ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালনা করবো ইনশা’আল্লাহ।
স্বামী তার নববিবাহিতা স্ত্রীর প্রস্তাবে
#আব্দুল্লাহ্_আল_মিসবাহ্ অানন্দিত হলেন।করাণ,তিনি এমন একজন স্ত্রী-ই কামনা করছিলেন।
বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রী স্বামীর কাছে দাবি করলেন, শরীয়াহ মোতাবেক আপনি আমাকে আলাদা বাসায় রাখতে বাধ্য। এবং আমি আপনার বৃদ্ধ পিতা-মাতার
সেবা বা দেখাশোনা করতে বাধ্য নই। সুতরাং আমার জন্য আলাদা বাসা দেখুন।আমি এই বাসায় আর থাকছিনা।
স্বামী বেচারা মসিবতে পড়ে গেলেন।
অনেক ভেবে চিন্তে দৌড়ে গেলেন মুফতী সাহেবের কাছে।
বললেন,হুজুর এই অবস্থা!
হুজুর বললেন, এটা একটা সমস্যা হলো!
শুনুন, আপনার স্ত্রী যা বলেছেন তা সত্যি।কিন্তু যেই শরীয়াহ আপনার স্ত্রীকে এই অধিকার দিয়েছে, সেই একই শরীয়াহ আপনাকে প্রয়োজনে আরো ৩টি বিয়ে করার অনুমতিও দিয়েছে।আপনি চাইলে আরেকটি বিয়ে করে ঐ স্ত্রীকে বাসায় রেখে দিতে পারেন।যিনি কিনা আপনার মাতাপিতার
দেখাশোনাও করবেন, আবার এই বাসায়ও থাকবেন।স্বামী চমৎকার সলিউশন পেয়ে গেলেন।
বাসায় ফিরেই তিনি স্ত্রীকে জানিয়ে দিলেন সাফ কথা।
প্রিয়তমা!
আমি তোমার সব শর্ত পূরণে রাজি।
আলাদা বাসা তুমি ঠিকই পাচ্ছো।
এ কথা শুনে স্ত্রী খুশীতে গদগদ হয়ে উঠলেন।
এবার স্বামী একটু গম্ভীর মোডে বললেন, কিন্তু ইসলামের অধিকার অনুযায়ী আমি আরো ৩টি বিয়ে করার অধিকার রাখি।
আমি ঠিক করেছি অাপাততঃ অারেকটি বিয়ে করে বাসায় রেখে দিব এবং সে-ই অামার আব্বু-আম্মুর সেবা করবে!
এ কথায় স্ত্রী ধাক্কা খেয়ে বলে উঠলেন,মাই সুইটহার্ট! বাদ দাওতো দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা।তোমার মা-বাপ কী,অার অামার মা-বাপ কী?
আমিই অামার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির খেদমত করবো ।এটা হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব।
অার সত্যিই কী অামি অালাদা বাসা চাইছি?
তুমি না ঢংও বুঝোনা!???
ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলাম রহ. : জীবন ও কর্ম

 আকাবির-আসলাফ, ইতিহাস ঐতিহ্য
 Leave a comment
তাঁর মূল নাম তাজুল ইসলাম। পিতার নাম মাওলানা আনোয়ার আলি । তিনি ১৩১৫ হিজরি মোতাবেক ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভুবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন
দশ বছর বয়সে প্রথমে তাকে নিজ গ্রাম ভুবন-এর পার্শ্ববর্তী এক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। মাত্র নয় মাসে তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সব বই মুখস্থ করে ফেলেন। তার এ বিষ্ময়কর মেধার পরিচয় পেয়ে তিনি তাকে মাদরাসায় ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক তার পিতা তাকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার উপকন্ঠে অবস্থিত শ্রীঘর মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দেন। এখানে কিছুকাল পড়াশোনা করার পর তিনি সিলেটের বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল মাদরাসায় ভর্তি হন। বাহুবল মাদরাসায় তিনি কয়েক বছর অধ্যয়ন করেন।
বাহুবল মাদরাসা থেকে যথাসময়ে সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে মাওলানা সাহেব তদানীন্তন বাংলা আসামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেটের মাদরাসা আলিয়ায় গিয়ে ভর্তি হন। ১৩৩৭-৩৮ হিজরি ফাজিল ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হন।
১৩৩৮ হিজরিতে তিনি বিশ্ববিখ্যাত আরবি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। এখানে তিনি মোট চার বছর পড়াশোনা করেন। দারুল উলুমে তিনি হাদিস, তাফসির, ফিকহ, আকাইদ ও আরবি সাহিত্য অধ্যয়ন করেন। এখানে শিক্ষাজীবনে তার বিষ্ময়কর মেধাশক্তির বিকাশ ঘটেছিল। এখানে প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেতেন। এ সময় তিনি সনদসহ কয়েক হাজার হাদিস ও ফিকহের বিখ্যাত গ্রন্থ আল-হিদায় সম্পূর্ণ মুখস্থ করেন। দেওবন্দে তার পৃষ্ঠাপোষক ও বিশেষ শিক্ষক ছিলেন তদানীন্তন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম যুগের ইমামখ্যাত আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশমিরি রহ. (১৮৭৫-১৯৩৩)।
বিবাহ ও পারিবারিক জীবন
মাওলানা তাজুল ইসলাম পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ কেরাত বিশেষজ্ঞ ও বাংলণাদেশে ইলমে কেরাতের প্রবর্তক উজানীর কারী ইবরাহিম সাহেবের তৃতীয় কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। এ স্ত্রী থেকে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম সন্তান ফাতেমাকে বিযে দেন চাঁদপুর এলাকার মাওলানা মুদদাসসির রহ. এর সঙ্গে। তার বড় ছেলের নাম ছিল আব্দুল্লাহ। তিনি মজ্জুব প্রকৃতির লোক ছিলেন। দ্বিতীয় ছেলের নাম হাফেজ হাবিবুল্লাহ। প্রথম স্ত্রীর ইন্তেকালের পর তিনি সরাইল থানার দেওরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এ স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম গ্রহণ করে। প্রথম ছেলের নাম হাফেজ ইমদাদুল্লাহ আর দ্বিতীয় ছেলের নাম হাফেজ ওয়ালি উল্লাহ। মেয়ের নাম নাসিমা খাতুন।
কর্মজীবন
দেওবন্দ ফারেগ আলেমগণ শিক্ষা সমাপনান্তে নিজ দেশে ফিরে এসে দীনি ইলমের খেদমত ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকে নিজের দায়িত্ব বলে মনে করতেন। ১৯৫০ এর দশকে তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সদরুল মুদাররিসিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপকের পদ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এছাড়াও অনেক বড় বড় চাকুরির প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সেগুলো প্রত্যাখান করে তিনি আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিস্তারেই আত্ননিয়োগ করেছিলেন। ১৩৪২ হিজরিতে দেওবন্দ থেকে ফিরে এসে তিনি প্রথমে ঢাকায় এবং পরে কুমিল্লাস্থ জামিয়া মিল্লিয়ায় (বর্তমান কাসিমুল উলুম মাদরাসা) শাইখুল হাদিস হিসেবে ইলমে খেদমত শুরু করেন। এই সময়ে এক পর্যায়ে তিনি কলকাতা আলিয়া আদরাসায়্র কিছু দিন ইলমে হাদিসের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুসিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইউনুস রহঃ এর সবিশেষ অনুরোধে তিনি ১৩৪৫ হিজরিতে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষের পদ গ্রহণ করেন। ইন্তেকাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৪২ বছর তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ দায়িত্ব পালন করেন।
বৃহত্তর পরিসরে সমাজসেবার জন্য রাজনীতিতে প্রবেশ
ফখরে বাঙ্গাল মাওলানা তাজুল ইসলাম রহঃ বৃহত্তর পরিসরে সমাজসেবা , ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিস্তারের প্রেরণা নিয়ে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের তিনি একজন নিঃস্বার্থ কর্মী ও নেতা ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্নে তিনি তদীয় শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাব্বির আহমদ ওসমানি রহঃ এর পরামর্শে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামে যোগদান করে পাকিস্থান আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। পূর্ব পাকিস্তানে সর্বপ্রথম তিনি ও হযরত মাওলানা আতাহার আলি রহঃ বিরোধী দল হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নিযামে ইসলাম পার্টি গঠন করেন। তদানীন্তন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাদের এই আন্দোলনের ফলে আদর্শ প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৫৪ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে নির্বাচনে তিনি বিপুল অবদান রাখেন। এই নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান পরিষদে নিযামে ইসলাম পার্টি ৩৬টি আসন লাভ করে। আল্লামা তাজুল ইসলাম পূর্ব পাকিস্তান জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নিযামে ইসলাম পার্টি এবং পরে নিখিল পাকিস্তান নিযামে ইসলাম দলের সহ সভাপতি পদে আসীন ছিলেন। সিলেট রেফারেন্ডামেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সমাজ সংস্কার ও সমাজসেবায় মাওলানার ভূমিকা
বেদাআত ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সমাজে প্রচলিত মিলাদ কিয়াম ও তথাকথিত মারেফাতের নামে ভন্ড ফকিরদের নানাবিধ বিরুপ প্রচারনার বিরুদ্ধে তিনি কার্যকরি ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহর থেকে পতিতালয় উচ্ছেদ ও পতিতাদের পুনর্বাসন তার এক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। তার পরামর্শ ও তত্ত্ববধানে ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের পূর্বাঞ্চলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি খাল খনন করা হয়েছিল। যা এন্ডারসন খাল নামে পরিচিত। এ খালের মাধ্যমে ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়।
কাদিয়ানি বিরোধী সংগ্রামে ফখরে বাঙ্গাল রহ.
সিংহপুরুষ আল্লামা তাজুল ইসলাম দেওবন্দ মাদরাসায় অধ্যয়নকালিন সময় থেকেই কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে বহস ও মোনাজারা শুরু করেন। কুরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে এবং প্রামাণ্য দলিল প্রমাণের আলোকে তিনি কাদিয়ানিদেরকে পরাজিত করতেন। খোদ ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরে অনুষ্ঠিত এক বাহাসে ফখরে বাঙ্গালের অকাট্য যু্িক্ত ও প্রমাণের সামনে টিকতে না পেরে পাঞ্জাব থেকে আগত কাদিয়ানি মৌলভিরা সভায় তাদের কিতাবপত্র রেখে পালিয়ে যায়। এমন ঘটনা ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বহুবার ঘটেছে। এভাবে কাদিয়ানি বিরোধী অভিযানের ফলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দলে দলে লোক আবার ইসলামের ছায়াতলে ফিরে আসে।
ইসলামি শিক্ষার প্রসারে তাঁর অবদান
মাওলানা নিজে আরবি ভাষায় সুপন্ডিত ও অনুপম কাব্য-প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাকে এমন বিষ্ময়কর মেধা দান করেছিলেন যে, ছাত্রজীবনেই তিনি সুন্দর সুন্দর ও উঁচুমানের আরবি কবিতা অনায়াসেই রচনা করে ফেলতেন। তিনি যখন ‘দিওয়ানে আলি’ পড়তেন তখন দিওয়ানে আলির সমপর্যায়ের কবিতা তিনি সহজেই মুখে মুখে রচনা করে শুনিয়ে দিতেন। দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালে (১৩৩৮-৪২হিজরি) একবার তিনি আরবি কবিতার মাধ্যম কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে বহস করেন। এ বহসে তিনি ৭০ টি আরবি কবিতা শ্লোক) রচনা করে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব প্রদান করেন। মাওলানার বিরল এ আরবি জ্ঞান ও কাব্যপ্রতিভা বিকশিত করার জন্য তিনি মাদরাসায় অধ্যাপনার পাশাপাশি অনেক মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তার হাতে গড়া কয়েকজন খ্যাতিমান আরবি ও ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির নাম ও তাদের কর্মক্ষেত্র উল্লেখ করা হলো যারা বিভিন্ন অঙ্গনে এবং জাতীয় জীবনে বিরাট অবদান রেখেছেন।
ইসলামি অনুশাসন পালনে প্রজ্ঞা ও সাহসিকতা
একবার ব্রাক্ষণবাড়িয়া মহকুমা প্রশাসক শহরের নিয়াজ পার্কে এক আনন্দ মেলা অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন মহকুমাব্যাপী প্রচার করেন। মাওলানা তাজুল ইসলাম সাহেব তখন এর বিরুদ্ধে পাল্টা বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। ঘটনাক্রমে একদিন এক অনুষ্ঠানে মহকুমা প্রশাসক ও তাজুল ইসলাম সাহেব মিলিত হলেন। মহকুমা প্রশাসক কথা প্রসঙ্গে মাওলানা সাহেবকে বললেন- মাওলানা, আপনার তো অনেক সাহস আপনি সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন। মাওলানা সাহেব সাথে সাথে জবাজ দিলেন- আপনার এতো স্পধা যে, সকল সরকারের বড় সরকার আল্লাহ্ পাকের বিরুদ্ধে লিফলেট প্রকাশ করেছেন। প্রশাসক মহোদয় এ জবাব শুনে একেবারে থ বনে যান।
আরেক দিনের ঘটনা। পাকিস্তানের তৎকালিন প্রদানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি ১৯৫৭ সালে একবার ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় এসেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি ফখরে বাঙ্গালকে বললেন- ‘মাওলানা সাহেব আপনারা রাজনীতি করেন কেন? আলেম বুজুর্গ মানুষ মাদরাসা মসজিদে বসে বসে আল্লাহর নাম ইয়াদ করবেন। আপনারা রাজনীতির কী বুঝেন?’ এ ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্যে ফখরে বাঙ্গাল বাঘের গর্জে ওঠে বললেন- ‘মিস্টার সোহরাওয়ার্দি আপনাদের রাজনীতির দৈর্ঘ কত? এ প্রশ্ন শুনে সোহরাওয়ার্দি তো একেবারে হতবাক। উত্তরের উপক্ষে না করে ফখরে বাঙ্গাল নিজেই জবাব দিলেন- আপনাদের রাজনীতির দৈর্ঘ মাত্র সাড়ে তিন হাত আর আমাদের রাজনীতির দৈর্ঘ দুনিয়া থেকে আখেরাত পর্যন্ত বিস্তৃত।
ফখরে বাঙ্গালের ইন্তেকাল
মহান রব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৬৭ সালের ৩রা এপ্রিল মোতাবেক ১৩৭৩ বঙ্গাব্দে ২০ চৈত্র রোজ সোমবার ৭১ বছর বয়সে এ আদর্শ সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, আরবি ও ইসলামি শিক্ষার একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ইন্তেকালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত মাসিক ভেলা পত্রিকায় বিশেষ সম্পাদকীয় নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল।